পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* সরযুবালা আর কিছু বলিতে পারিল না, কাতর নয়নে স্বামীর মুখে চাহিয়া । রহিল। নবকুমারের দৃষ্টি সেদিকে ছিল না। সে অন্য দিকে চাহিয়া ছিল। ৭ সে এই কথাগুলির উত্তর অনেকক্ষণ দিল না; তাহারপর গভীর স্বরে বলিলঃ আমি হেমকে নিয়েট যাব। তুমি তোমার কুশল সংবাদ লিখ, আমিও লিখবো ।” সরযুস্বামীর হাত ধরিয়া বলিল, “প্রসন্নমুখে বলে। তুমি মুখ অমান করে বলে BDDB DD BD LuuB D S S “তোমায় ছেড়ে দূরে যাচ্ছি ; কি করে মুখ প্রসন্ন হবে, সরযু।” সরযু নীরবে অশ্রু বর্ষণ করিতে লাগিল। সরযুর নয়নে অশ্রু দেখিয়া নবকুমারের চকুও সজল হইল। কিন্তু তাহার অটল প্রতিজ্ঞা টলিল না । রুদ্রেশ্বরও জামাতাকে বিদেশে যাইতে নিষেধ করিয়াছিল। তাহার কথাও থাকে নাই। তাহাতে তাহার বড়ই কষ্ট । তাহার যাহা আছে তাহা যথেষ্ট। কেন যে তবে জামাতা এত ঝোক করিয়া বিদেশবাসী হইল, রুদ্রেশ্বর তাহা বুঝিতে পারিল না। সরযুর বিবাহের পর এ যাবৎ একদিনও রুদ্রেশ্বরের মুখ বিষগ্ন হয় নাই। এখন এক এক দিন। রুদ্র বড়ই বিষগ্র ভাবে দিন কাটাইত। পিতার অমন বিষন্ন মুখ দেখিয়া, এক দিন সরযু তাহাকে জিজ্ঞাসা করল, “বাবা, আজকাল তোমায় এমন বিষন্ন দেখি কেন ?” “সরযু, নবকুমার বিদেশবাসী হলো, তা”হ’লে তুই আর এখানে কতদিন EDBBS BD S DBDD DBDD DYSS gB BDBD DB BLDS DB gBDB হ’বে। এই জনশূন্য পুরীতে কি করে একা থাকবো তাই ভাবি।” তখন সন্নযুর মন একটু স্থির হইল, পিতার মুখ আমন দেখিয়া সরযুর বড়ই ভয় হইয়াছিল। সে ভাবিয়াছিল, সে যে প্রত্যহ রাত্রিতে কঁাদে পিতা হয় ত জানিয়াছেন, তাই আমন বিষন্ন হইয়া থাকেন, তা নয়। সরযু হাসিয়া বলিল, “বাবা বুড় হয়ে তোমার বুদ্ধিাশুদ্ধি লোপ পাচ্ছে নাকি ? তোমায় ছেড়ে আমি কোথায় যাব,বাবা ? আর নিয়ে যাবার হলে তিনি এবারই নিয়ে যেতেন। তোমায় একা রেখে তিনি কি নিয়ে যেতে পারেন ।” এই কথাগুলিতে রূদ্রেশ্বরের বড়ই আনন্দ হইল, তবে জামাতা নিশ্চয়ই মেয়েকে এ কথা বলিয়াছে। তাহা না হইলে কি মেয়ে অমান সাহস করিয়া বলিতে পারে। এখন পিতাপুত্রৰীতে সে ছেলে-খেলা ত হইত না । , এখন --রুদ্রোর্থর তাহার বাল্যকালের ক্রোধের কথা, পিতামাতার কথাৎ সরযুস্থ। জননীর কথা গল্প করিত, আর সরযু নীরবে সব শুনিত। সেই অতীত