পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যাবর্ত YN RIG-4 MRU د سو88 করিয়া বলা কঠিন। তবে বঙ্গভাষার প্রতি, বাঙ্গালার প্রতি, বাঙ্গালা দেশের প্রতি তাহার যে একান্ত অকৃত্রিম অনুরাগ, যাহা তঁহার লেখার নানাস্থানে নানাভাবে পরিস্ফুট ও জীবন্ত হইয়া উঠিয়াছে, তাহার তুলনা বিরল, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। সাবিত্রীচরিত্রের মাহাত্ম্য-বর্ণনা করিতে, অভিজ্ঞান শকুন্তলের মাধুর্য-বর্ণনা করিতে, সংযমশিক্ষার বিভিন্ন স্তর-প্রদর্শন করিতে, র্তাহার সেই একই স্বদেশপ্রেম, একই ধর্ম্মবিশ্বাস, একই গৌরবের আশা আত্মবিকাশ করিয়াছে। ‘শকুন্তলা-তত্ত্ব’ই অনেকের মতে চন্দ্রনাথ বাবুর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। LBuBB BBD SDBD DDBDD DBD DB DBDDBDD BBD DBDDBBD অভিজ্ঞান-শকুন্তলের সমালোচনাই চন্দ্রনাথ বাবুর বাঙ্গালাভাষায় গ্রন্থ রচনা করিৰার প্রথম সোপান । তঁহার আত্মজীবনচরিতে তিনি লিখিয়া গিয়াছেন, “শকুন্তলাতত্ত্ব লিখিবার পর সরকারী কার্য্যের জন্য ভিন্ন আর ইংরেজী লিখি নাই, লিখিতে আর ইচ্ছাও হয় নাই-এখন সম্পূর্ণ অনিচ্ছা হইয়াছে। লিখিতে হইলে মাতৃভাষায় লেখার ন্যায় অন্য কোন ভাষায় লেখা স্বাভাবিক ও সুখকর নহে।” “শকুন্তলাতত্ত্ব’ ‘বঙ্গদর্শনে’ লিখিবার পূর্বে একখানি ইংরেজীপত্রে তিনি কৃষ্ণকান্তের উইলের সমালোচনা করেন, তাহাই দেখিয়া বঙ্কিমবাবু চন্দ্রনাথ বাবুকে ‘বঙ্গদর্শনে’ লিখিবার জন্য “পীড়াপীড়ি” করেন। “বঙ্গদর্শনের’’ সহিত র্তাহার এই যে একটি ঘনিষ্ঠ পরিচয় হইল, এবং এই সুত্রে বঙ্গসাহিত্যের সহিত যে একটি প্রীতিকর বন্ধন গ্রথিত হইল, আজীবন সে পরিচয় তিনি বিস্মৃত হয়েন নাই, সে স্নেহৰন্ধন তিনি শিথিল হইতে দেন নাই। ভাষার পবিত্রতা ও গৌরব রক্ষা করিয়া তিনি একান্ত মনে তাহার সেবা করিয়াছিলেন। চন্দ্রনাথ বাবুর ভাষা প্রাজিল, ও প্রসাদগুণবিশিষ্ট। সরল কথাকে অনর্থক যুৱাইয়া ফিরাইয়া জটিল করিয়া তুলিবার প্রণালী তাহার ছিল না। যাহাতে সাধারণ লোকে সহজে বক্তব্য বিষয়ের অর্থসংগ্রহ করিতে পারে, এজন্য তিনি সমাসবাহুল্য এবং সংস্কৃতবাক্যবিন্যাসের আড়ম্বর পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । এই সকল কারণে তাহারা ভাষায় একটা সহজ প্রফুল্লতা ও বাধাহীন স্রোত ছিল। চন্দ্রনাথ বাবু সমালোচক বা Reviewer ভাবে বঙ্গসাহিত্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন ; তাহার সমস্ত লেখায় তিনি এই সমালোচনার ভৰই রক্ষা করিয়া গিয়াছেন। সংস্কৃত কাব্যের সমালোচনা, সমাজপ্রণালীর সমালোচনা, লোকচরিত্রের সমালোচনা, ধর্ম্মের সমালোচনা করিয়া তিনি বঙ্গসাহিত্যকে অলঙ্কত করিয়াছেন। সমালোচনায় তিনি অশেষ পাণ্ডিত্য ও নিপুণতার পরিচয় দিয়াছেন। তাহার সমালোচনা কিন্তু সমালোচনামাত্র