পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৭২০

পাষাণের কথা । ( છ ) পরদিন প্রভাতে অধিকাংশ নগরবাসী অৰ্চনা কবিবার জন্য স্তুপে আসিল t হিমকণ-ধৌত হেমন্ত প্রভাতে নবজাতিসূর্য্যকারম্নাত হইয়া দলে দলে কৌষেয়বস্ত্র । পরিহিত নগরবাসী স্তুপ দর্শন, প্রদক্ষিণ ও অৰ্চন করিয়া গেল। দিনের পর । দিন যাইতে লাগিল, নবনির্মিত স্তুপের সৌন্দর্ঘ্যের খ্যাতি চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত হইয়া । পড়িল ; নানা দেশ হইতে জনসঙ্ঘ স্তপদর্শন করিতে আসিল । এইরূপে নবা- ? গতের কোলাহলে কিছুকাল কাটিয়া গেল। কাল-নিরূপণ করিবার ক্ষমতা । আমার যদি থাকিত, তাহা হইলে সমস্ত স্তপের ইতিবৃত্ত বলিয়া যাইতে পারিতাম, , কিন্তু পূৰ্বেই বলিয়াছি, সে ক্ষমতা আমার নাই। আমার জন্মের প্রথম দিবস হইতে চিত্রশালায় আগমন পর্য্যন্ত সমস্ত কথা বলিতে পারি, কিন্তু কোনও ঘটনার সময় নির্দেশ করিবার ক্ষমতা আমার নাই। কিছুকাল গত হইলে যখন স্তপ | পুরাতন হইল, তখন দর্শকের সংখ্যা ক্রমশঃ কমিয়া আসিল। প্রতিদিন প্রাতে । নিয়মিত সংখ্যক স্থবির ও স্থবিরা শুপদর্শন করিতে আসিতেন। কচিৎ কখনও দূরদেশাগত তীর্থযাত্রী তথাগতের শরীর-দর্শন-মানসে নগরে আসিতেন ; সেই দিন । বৃদ্ধ মহাস্থবির মহোল্লাসে গর্ভগৃহের দ্বারোন্মোচন করিতে আসিতেন। তিনি । স্ত। পবেষ্টনীর বহির্ভাগে কাষ্ঠনির্ম্মিত সঙ্ঘারামে বাস করিতেন। একদিন দেখি- । লাম, পুষ্পচন্দনশোভিত মহাবৃদ্ধ মহাস্থবিরের শবদেহ ভিক্ষুসঙ্ঘ নগরাভিমুখে । লইয়া গেল। নগরে আর্তনাদ উত্থিত হইল। প্রান্তরমধ্যস্থিত ক্ষুদ্র নদীতীরে । প্রাচীন মহাস্থবিরের দেহ ভস্মীভূত হইল। একদিন শুনিলাম, সঙ্ঘারামবাসী । ভিক্ষুকগণ রাজপ্রাসাদে আহত হইয়াছেন, রাজা অগরাজুর অন্তিমকাল উপস্থিত। অগরাজুর মৃত্যু হইল। তাহার শিশুপুত্রকে সিংহাসনে স্থাপিত করিয়া বিশ্বস্তুষ্ট্র রাজকর্ম্মচারিগণ রাজ্য রক্ষা করিতে লাগিলেন। এইরূপে কিছুদিন কাটরা: গেল, তক্ষশিলা হইতে সিংহদত্তের নির্বাণ লাভের সংবাদ আসিল । তাহার পরই প্রলয় ঝটিকা উখিত হইল । స్తే ལྟའི་ পতনোন্মুখ যবনজাতিকে, বােধ হয়, সিংহদত্তই দণ্ডায়মান রাখিয়াছিলেন। স্বদেশ, স্বধর্ম্ম, স্বভাষাচ্যুত যবনজাতির মধ্যে একতার অত্যন্ত অভাব হইয়াছিল।