পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলিখেছি, বাঙ্গালা ভাষার ক্ষে আদর করে ? নব্য শিক্ষিতের দল ইহা পড়েন না; } লইয়া থাকেন। বঙ্গভাষা এক্ষণে একটি নব্য শিক্ষিত দলেরই একমাত্র ক্রীড়নক। ভাষারও সক্ষরত্ব আছে। বঙ্গভাষাতেও সঙ্করত্ব পৌঁছিয়াছে। "সঙ্করোনারকদৈব।” ভাষা জননীর এখন ফার্সাঁ-হিন্দি-ইংরাজী-সংস্কৃত বিমিশ্রিত এক অভি ــــ পণ্ডিতগণ সংস্কৃতের চর্চা করেন ; বাঙ্গালী মুসলমানগণ সাদী হাফেজ। नव भूर्खि । বঙ্গ-সাহিত্যের উন্নতি গৌড়ীয় যুগেই হইয়াছিল। হইবার যথেষ্ট কারণও ছিল। তখন স্বাধীন নৃপতিগণ ও দেশের ধনিগণ সাহিত্যের মর্ম্ম বুঝিতেন। এক একজন মহাত্মা এক বা ততোধিক কবির পৃষ্ঠপোষক থাকিতেন। যেমন কৃত্তিবাসের তাহিরপুরের রাজা কংস নারায়ণ, কবীন্দ্রের নসরৎ খাঁ, বিদ্যাপতির শিবসিংহ, বিজয়গুপ্তের হােসেন শাহ, ষষ্ঠীবরের জগদানন্দ, মুকুন্দরামের রঘুনাথ দেব, রামেশ্বরের যশোমন্ত সিংহ, অনন্তরামের বিশারদ, রামপ্রসাদ ও ভারতচন্দ্রের 'কৃষ্ণচন্দ্র, কবি আলোয়ালের মাগন ঠাকুর, ভবানীদাসের জয়চন্দ্র পৃষ্ঠপােষক ছিলেন। তাই সাহিত্যেরও পরিপুষ্ট সম্ভবপর হইয়াছিল। আর সে দিন নাই, সাহিত্যের সে উন্নতিও নাই। সাহিত্যের বিকাশ দুই দিকে,-এক গদ্যে ও অন্য পদ্যে। পূর্বে গদ্য একরূপ ছিল না বলিলেও হয়। যাহা রচিত হইত, তৎসমুদ্রায় পন্থেই হ'ষ্টত। প্রাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগর মহাশয় ও মদনমোহন তর্কালঙ্কার-প্রমুখ জনকয়েক মহাত্মার যন্ধেই প্রথম সুমার্জিত গষ্ঠ সাহিত্যের উদ্ভব হয়। সেই গদ্য আজও পঠিত এবং পাঠত হইতেছে। সেই গঙ্গাই; মধুসুদন, হেমচন্দ্র, রজনীকান্ত, যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, বঙ্কিমচন্দ্র কর্তৃকও গ্রাহ হইয়াছিল। । কিন্তু আজ কাল আর সে দিন নাই। আজ কাল বিজ্ঞানের দিন, প্রত্নতত্বের দিন, মৌলিক অনুসন্ধানের দিন। এক্ষণে বিশুদ্ধ সাহিত্যিকের অভাব হইতেছে। মৌলিক ভাষা নাই, ভাষার রীতিও নাই। মৌলিক অনুসন্ধান ও মেধাবী পণ্ডিতগণের অপূর্ব ধীশক্তি বলে আমরা নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয় বেশ শিখিস্নাছি :-পলাসীযুদ্ধের পর জন কয়েক নিষ্কর্ম্ম ব্রাহ্মণ কুটরাজনীতি চরিতার্থ कब्रिएङ थुहेगश्झङ visis "ge fistfig1 (Dugald Stewart); झ८था চাষার গান ; “গােড়ীয় ভাষাগুলি কোন অনার্য্য ভাষা হইতে নিঃস্থত হইয়া সংস্কৃত অভিধানের সাহার্য্যে পুষ্ট হইয়াছে ; বুদ্ধ কোন লোক বিশেষের নাম নহে; क्ौब्रांस्नि মাতৃগুপ্ত ও কালিদাস একই ব্যক্তি।”-(বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ হইতে