রাণী বিন্দুমতী । SA যশোবন্তসিংহ যোধপুরে পৌছিবামাত্র, রাণী, দুর্গের দ্বার বন্ধ করিয়া দিলেন। স্বামীকে সংবাদ দিলেন,-“আমার স্বামী যশোবন্তসিংহ কখনো যুদ্ধে পরাজিত হইয়া গৃহে ফিরিবার পাত্র নহেন। তিনি হয় বিজয় গৌরবে গৃহে ফিরিবেন, না হয় রণক্ষেত্রে শত্রুর অসিতে দেহপাত করিবেন। যিনি দুৰ্গদ্বারে উপস্থিত, তিনি যশোবন্তসিংহ নহেন ; অন্য কেহ ছলে দুর্গপ্রৱেশ করিতে চাহিতেছেন। যশোবান্তের অনুপস্থিতিতে এ দুগের অধিকারিণী আমি । যশোবান্তের নাম ধরিয়া, যশোবস্তের রূপ লইয়া যে প্রতারক দুর্গে প্রবেশ করিতে চাহিতেছে, তাহাকে আমি দুগে প্রবেশ করিতে দিব না।” তেজস্বিনী, পত্নীর এই তিরস্কারে যশোবন্ত যার-পর-নাই লজ্জিত হইলেন। পত্নীর উপর রুষ্ট হইলেন না ; মনে মনে র্তাহাকে সহস্র ধন্যবাদ দিয়া জানাইলেন,-“আমি যুদ্ধে ক্লান্ত, কিছুকাল দুর্গে বিশ্রাম করিয়া আবার যুদ্ধে যাইব ! জয়লাভ না করিয়া আর ফিরিব না ।” রাণী দুৰ্গদ্বার খুলিয়া দিলেন। কিন্তু, স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলেন না । যশোবন্ত অল্পকাল দুর্গে বিশ্রাম করিয়া আবার যুদ্ধযাত্রা করিলেন। , যুদ্ধের শেষে যখন ঔরঙ্গজেব দিল্লীর সম্রাটু হইলেন, যশোবন্ত সিংহকে তঁহারই অধীন হইতে হইল । যোগ্য বলিয়া ঔরঙ্গজেবও তঁহাকে উচ্চ রাজকার্য্যে নিযুক্ত করিলেন।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।