o o আর্য্য-নারী । করিলেন । সম্রাটের সৈন্য যশোবস্তের প্রাসাদ আক্রমণ করিল ৷ বিন্দুমতী কহিলেন,-“দুৰ্গাদাস! স্বামীর মৃত্যুতে জীবন রাখিয়াছি । আজ এ বিপদেও জীবন রাখিতে হইবে । স্বামীর একমাত্র বংশধর এই শিশু, ইহাকে বঁাচাইতে হইবে । ইহার জীবনের জন্য, ইহাকে মানুষ করিবার জন্য, - এই * বিশ্বাসঘাতকতা ও এই অত্যাচারের প্রতিশোধের জন্য, আমাকেও বঁচিয়া থাকিতে হইবে। পারিবে কি দুৰ্গাদাস ? যশোবস্তের মহিষী, যশোবস্তের পুত্র, ইহাদের প্রাণ রাখিতে, সম্মান রাখিতে পারিবে ? —মহাবীর যশোবান্তের বংশ আততায়ীর কুস্তে পৃথিবী হইতে একেবারে নির্ম্মল হইবে, ইহা সহ্য করিতে পারিব না। যদি আর কোথাও স্বামীর একটিমাত্র পুত্রও থাকিত, কিছুমাত্র চিস্তা করিতাম না। আজ হাসিতে হাসিতে শিশুকে নিজহস্তুে মৃত্যু-মুখে ডালি দিয়া স্বামীর গৌরব রক্ষা করিতাম, তবু বিশ্বাসঘাতক শত্রুর হস্তে তাহাকে সঁপিয়া দিতাম না ।” দুৰ্গাদাস কহিলেন,-“মা, ভয় নাই, ০৬প্রাণপণে তোমাকে আর এই শিশুকে রক্ষা করিব । পুরনারী সকলকে লইয়া পলায়ন সম্ভব হইবে না। র্তাহাদিগকে, সম্মান রক্ষার জন্য, আজি, মরিতে হইবে । কিন্তু তোমাকে আর অজিতকে লইয়া আজি এই মোগল বুহি ভেদ করিয়া যাইব। কিন্তু মা, সাহস রাখিও। হাতের অসি ছাড়িও না, যদি না পারি, যদি তোমার মোগলের
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।