কর্ম্মদেৰী । আর একটি শাখা-রাঠোর কুল জাত। রাজপুতজাতির মধ্যে শিশোদীয় বংশীয়েরাই কুলে শীলে সর্বশ্রেষ্ঠ। তঁহাদের পরেই রাঠোর বংশীয়দের স্থান। এই সময় মুন্দর নগরে মারবারের রাঠোর-রাজগণের রাজধানী ছিল। পরে যোধা নামে একজন রাজা যোধপুরে রাজধানী স্থাপন করেন। মুন্দররাজ চণ্ডের পুত্র অরণ্যকমলের সঙ্গে, অরিন্তরাজ মাণিকরাও কন্যা কর্ম্মদেবীর বিবাহ সম্বন্ধ করিলেন। রাঠোর বংশে কন্যা দান করিয়া ধন্য হইবেন, তাই কন্যার মতামত কিছু না জানিয়াই তিনি এই সম্বন্ধ স্থির করিলেন । এই সময় কোন যুদ্ধ হইতে ফিরিবার পথে সাধু অরিন্ত নগরের নিকটে উপস্থিত হইলেন। মাণিকরাও এই বিখ্যাত বীরের প্রতি যথোচিত সম্মান দেখাইবার জন্য নিজ নগরে তঁাহাকে নিমন্ত্রণ করিলেন । কর্ম্মদেবী পূর্বে কখনো সাধুকে দেখেন নাই। কেবল বীরত্বের খ্যাতি শুনিয়াই তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। এখন সেই বীরবারকে চক্ষে দেখিয়া, তাহার বীরতেজ-উদ্ভাসিত মূর্ত্তি দেখিয়া, একেবারে মুগ্ধ হইলেন। বীরের পদে বীরাঙ্গনা মনপ্রাণ সমর্পণ করিলেন। পিতা ইহার পূর্বে রাঠোর-রাজপুত্র অরণ্যকমলের সঙ্গে তাহার বিবাহের সম্বন্ধ করিয়াছেন ; রাঠোর-রাজপুত্র, বংশে সাধু অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ; মারবার বৃহৎ পরাক্রান্ত রাজ্য ; পুগল, যশস্ত্রীর রাজ্যের অধীন ক্ষুদ্র জনপদ মাত্র। তারপর এই সম্বন্ধ ভঙ্গ
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।