আর্য্য-নারী । করিয়া অবমাননা করিলে মারবাররাজ তাহার প্রতিশোধ লইতে কি ছাড়িবেন ? কখনও নয়। তখন, ক্ষুদ্র পুগলের সাধ্য কি, যে, মারবারের ক্রোধ হইতে আত্মরক্ষা করিতে পারে ? এইরূপ সহচরীরা কর্ম্মদেবীকে অনেক বুৰাইলেন। কিন্তু কর্ম্মদেবী উত্তর করিলেন,- * * “- উচ্চবংশ ও রাজ্যসম্পদ অপেক্ষা, বীরত্ব রাজপুতবালার পক্ষে অনেক বেশী আদরের। সাধুর ন্যায় বীরের সহধর্ম্মিণী হইতে পারিলে, রাজপুতবালা আমি, পৃথিবীর সাম্রাজ্যও চাই না। রাঠোরকুলের রাজমহিষী হইয়া মুন্দরের ঐশ্বর্য্য ভোগবিলাস আমি চাই না । এই বীরের সঙ্গে ঘোড়ায় চড়িয়া বেড়াইতে পারিলে আমি অনেক বেশী সুখী হইব। এই বীরের বীরত্বে মুগ্ধ হইয়া মনে মনে ইহাকেই যখন আত্মসমৰ্পণ করিয়াছি, তখন ইনিই আমার স্বামী । ভয়ে বা লোভে অন্য কোন ব্যক্তিকে কখনো বরমাল্য দিতে পারিব না। এত বীরত্বের অধিকারী হইয়া, যুদ্ধে জয়লাভ করিয়াও যদি সাধু, মারবারের রাঠোর-শক্তির প্রতিহিংসা হইতে আত্মরক্ষা করিতে না পারেন, বুঝিব, বিধাতা আমাদের গার্থিব সুখের বাদী। ইহার মৃতদেহের সঙ্গে চিন্তানলে.এই পার্থিব দেহ বিসর্জন দিয়া—স্বর্গে ইহার সঙ্গে মিলিত হইব।” সহচরীরা ক্ষান্ত হইল। কন্যার এই দৃঢ় সংকল্পের কথা মাণিকরাও জানিতে পারিলেন। কন্যার মত পরিবর্তনের জন্য শর্তাহারও সকল চেষ্টা ব্যর্থ হইল। অগত্যা মাণিকরাও সাধুৱা নিকট বিবাহের প্রস্তাব করিলেন।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।