কর্ম্মদেবী Yè) তখন সাধু, স্ত্রীর নিকট একবার বিদায় নিতে গেলেন। কর্ম্মদেবী এতক্ষণ উৎফুল্ল নেত্রে যুদ্ধ দেখিতেছিলেন। সাধু বিদায় চাহিলে, তিনি একটু হাসিয়া কহিলেন,-“যাও, আমি নিজের চক্ষে তোমার বীরত্ব ও রণকৌশল কখনাে দেখি নাই, আজ তাহা দেখিয়া নয়ন সার্থক করিব। যাও, বীর তুমি, বীরের মত শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া জয় কিম্বা আপনার মান রক্ষা কর । জয় কিম্বা মরণ যাই লাভ কর, তাতেই তোমার বীরের মান থাকিবে। তোমার মৃত্যুতেও আমি কাতর হইব না। আমার কথা ভাবিয়া পরাজিত হইয়া ফিরিও না । যদি জয় লাভ করিতে না পার, মরিতে কুষ্ঠিত হইও না । আমি তোমার অনুগামিনী হইব ।” (७) শুনায়ু ও অরণ্যকমল যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। বীরের রীতি অনুসারে, প্রথমে উভয়ে পরস্পরকে সসন্ত্রমে অভিবাদন করিয়া যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইলেন। তখন, এক সঙ্গে দুই জনে বিশাল তরবারি তুলিয়া, পরস্পরের মস্তক লুক্ষ্য করিয়া প্রবল বেগে ছুটিয়া আসিয়া আঘাত করিলেন। আঘাতে দুইজনই এক সঙ্গে ভূপতিত হইলেন। কিছুকাল পরে অরণ্যকমলের চেতনা হইল। जांभू आव्र ऐठेिष्णन नl । কর্ম্মদেবী নিশ্চল ও শান্তভাবে দাড়াইয়া যুদ্ধ দেখিতেছিলেন।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।