পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2急8 ख्यां-नांौ । ইহাতে দুঃখিত হইও না। প্রশান্ত মনে আমাকে বিদায় দাও । যদি মরি, যদি আর ফিরিয়া না আসি, এ জীবনে যদি মিলন আর না-ও হয়, তাতেও ক্ষুব্ধ হইও না। পর জীবনে আবার আমরা মিলিব। আমাদের এই বিবাহ ইহকালের জন্য নয়, পরকালের জন্য বলিয়া মনে করিবে ।” ” মুখ তুলিয়া নীরকী-কন্যা কহিলেন,-“তুমি রাজপুতবীর, আমিও রাজপুতবালা, রাজপুতবীরের সহধর্ম্মিণী --পার্থিব সুখের জন্য স্বামীর বীর-ধর্ম্মেবাদিনী কখনো হইব না। তুমি যাও, আমার জন্য ভাবিও না । আজ যে মিলনে নিরাশ হইলাম, জীবনে যদি সে মিলন আর নাও ঘটে, তোমার বীরত্ব ও ত্যাগের কথা মনে করিয়া তাও সহিব। তোমার অনুগামিনী হইয়া পরলোকে তোমার সঙ্গে মিলিব ।” মেহ্ত্রীকুমার অবিলম্বে ঘোড়া ছুটাইয়া চলিলেন । তাহার পিতা যেখানে সৈন্য সহ যুদ্ধার্থে প্রস্তুত ছিলেন, সে স্থান নীয়কী হইতে প্রায় আশী ক্রোশ দূরে। দুইরাত্রি ও একদিনে এই আশীক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া বীর যুবক যুদ্ধে যোগদান করিলেন। বরবেশে তাঁহার এই যুদ্ধযাত্রা উপলক্ষ্য করিয়া ভট্টি কবিরা গাইয়াছেন,- “কাণে মতি বলবল গলে সোণিএ মালা, আশী কোশ করে হো আয় কোঙার মেহত্রীওয়ালা ?” কাণে উজ্জ্বল মতি, গলায় সোণার মালা, এমন বেশে মেহত্রীকুমার আশী ক্রোশ পথ চলিয়া যুদ্ধে আসিলেন।”