बौद्मकी कूभांड्री । Yst ( R ) ভ্রামী চলিয়া আসিলে নীরবীকন্যাও আর পিতৃগৃহে তিষ্ঠিতে পারিলেন না। অবিলম্বে র্তাহার শ্বশুর-গৃহে পাঠাবার জন্য পিতা মাতাকে অনুরোধ করিলেন । এমন সময় যুদ্ধের ফলাফল না জানিয়া, এই যুদ্ধ-সন্ধুল দীর্ঘ পথে কন্যাকে পাঠাইতে পিতা মাতার বড় ইচ্ছা ছিল না । মাতা অনেক বুঝাইলেন । কিন্তু কন্যা কহিলেন,-“কোন মা, আর আমাকে এখানে থাকিতে বলিতেছ ? স্বামী এমন ভাবে ফেলিয়া যুদ্ধে গিয়াছেন, আমি কি এখানে নিশ্চিন্ত থাকিতে পারি ? আমি যাইব। যদি একটি দিনের তরেও জীবিত র্তা’র দেখা পাই, ইহজীবন আমার সার্থক হইবে। যদি তার মৃত্যু হয়, এক চিতায় তঁর সঙ্গে চলিয়া যাইতে পারিব। ইহজীবনে যে টুকু সুখের আশা বিধাতা দিয়াছেন, এখানে থাকিয়া তাতেও কেন মা বঞ্চিত হইব ?” মাতা আর আপত্তি করিলেন না। নীরকী-সর্দার অবিলম্বে কন্যাকে শ্বশুরালয়ে পাঠাইলেন । নীরকী-কন্যা শ্বশুরালয়ে পৌঁছিয়াই দেখিলেন সজ্জিত চিতায়-স্বামীর মৃত ৷ দেহ! একটিবার মাত্রও যদি স্বামীকে জীবিত দেখিতে পান, এই ক্ষীণ আশায় বুক বঁাধিয়া এত পথ তিনি আসিয়াছেন, সে আশা তাঁর পুরিল না। একটিবার মাত্র-মুহূর্ত্তের জন্য যে সাধ মিটিলে ইহজীৱন তিনি সার্থক মনে করিতেন, সে সাথেও
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।