দুৰ্গাবতী । YVONS) আর যদি বিধাতার এমনি ইচ্ছা হয়, যে, অটল অচলশ্রেণীর ন্যায় গড়ের বীরসৈন্যশ্রেণী-ভগ্ন করিয়া মোগল গড় অধিকার করিবেই, জন্মভূমির জন্য জীবনদানে ইহজগতে অক্ষয়কীর্ত্তি, পরলোকে অনন্ত সুখময় স্বগের অধিকারী তোমরা হও । গড় ক্ষেত্র তোমাদের যে বীরশোণিতে প্লাবিত হইবে, তাহা কখনো বৃথা যাইবে না । একদিন না একদিন সেই বীরশোণিত প্লাবনে গড়ের উর্বর ক্ষেত্রে আবার জগৎ-বিজয়ী বীরবংশের অভু্যুত্থান হইবে। চলহ। তবে সৈন্যগণ ! তোমাদের রণরঙ্গিনী রাণীমার সঙ্গে রণরঙ্গিী সন্তান তোমরা বীরাহুঙ্কারে, অন্ত্রের ঝনঝনায়, অশ্বের পদশব্দে, দিগন্তপ্রসারী উচ্চ গগন ধবনিত ও প্রতিধ্বনিত করিয়া, মোগলের হৃদয় ত্রাস কম্পিত করিয়া রণক্ষেত্রে চল । গড়বাসী বীরের বিক্রমে আজ মোগল শক্তি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হউক, ভারত স্তস্তিত হউক।” ভীম হুঙ্কারে ও অন্ত্রের ঝনঝনায় দিগন্ত কঁপাইয়া সৈন্যগণ রাণীর সঙ্গে ছুটিল। প্রবল বিক্রমে দুৰ্গাবতী মোগল সৈন্য আক্রমণ করিলেন। দুইবার মোগল পরাজিত হইল। মোগল সৈন্য বিশৃঙ্খল হইয়া পড়িল । সমস্ত দিন এইরূপ যুদ্ধে কাটিল। রাত্রিতে দুৰ্গাৰতী সৈন্যদিগকে কিছুকাল বিশ্রাম করিতে আদেশ দিলেন । (8) কিছুকাল বিশ্রামের পর, রাত্রিতেই আবার তিনি বিশৃঙ্খল মোগল সৈন্যদিগকে আক্রমণ করিয়া একেবারে তাহ
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।