আর্য্য-নারী । সাহায্যে, আক্রমণে প্রবল বেগে বাধা দিয়া নগর রক্ষার সকল প্রকার সুবন্দোবস্ত করিলেন। কিছুকাল পর্য্যন্ত রাণী আদান্য উৎসাহে ও অতুল বিক্রমে নগর রক্ষা করিতে লাগিলেন। ক্রমে নগরের সঞ্চিত আহার্য্য ফুরাইল ; বাহির হইতে আহার্য্য আসিবার উপায় নাই। সহসা এইরূপে অবরুদ্ধ হইয়া বহুদিন নগর রক্ষা করিতে হইবে, ইহা পূর্বে কেহ মনে করিতে পাৱেন নাই। সুতরাং অবরোধের পূর্বে সমস্ত নগরবাসীর জন্য বহুদিনের মত আহার্য্য সংগ্রহ করিয়া রাখা হয় নাই। রাণী দেখিলেন, আর নগর রক্ষার উপায় নাই। তখন, তেজস্বিনী বীরাঙ্গনা রাণী, সমস্ত প্রধান নাগরিক ও সেনানায়কগণকে একত্র করিয়া কহিলেন,-“সিন্ধুগৌরব বীরগণ ! দেখিতেছি। আর রক্ষার উপায় নাই। কিন্তু শোনা -রক্ষার উপায় নাই বলিয়া আমরা জীবিত থাকিতে শক্রির করে আত্মসমৰ্পণ করিব না ! মরিতে একদিন হইবেই, তবে এস, আমরা মানুষের মত সকলে মরিব । মানুষ হইয়া, ক্ষত্রিয় হইয়া, রাজপুত হইয়া, মনুষ্যত্বহীন পরাধীন জীবন কখনো গ্রহণ করিব না ! আমরা আর্য্যনারী, সতীত্বের জন্য প্রাণ দিতে কখনো ডরাই না । স্বামীর পরলোকে স্বামী-বিরহিত অসার জীবন বহন না করিয়া, স্বামীর চিতায় স্বামীর পরলোকের সঙ্গিনী, আমরা হইয়া থাকি। পুরবাসিনী আমরা সকলে একত্রে চিতায় প্রাণ বিসর্জন করিব। তারপর, আমাদের এই ভীষণ মৃত্যুর সদ্য স্মৃতির অগ্নিজ্বালা বুকে লইয়া, বীর তোমরা সকলে শত্রু নাশ করিতে করিতে শত্রুর
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।