SET আর্য্য-নারী । জিজার সর্বোচ্চ কামনা । শৈশব হইতেই সেইরূপ ভাবে তিনি পুত্রকে দীক্ষিত, তদুপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করিতে লাগিলেন । জ্ঞানের উন্মেষ হইতেই তিনি পুত্রকে বলিতেন,-“শিবা, ভবানীর পূজা করিয়া ভবানীর বরে, ভবানীর আশীর্বাদে তোমাকে পাইয়াছি। আমার সুখের জন্য নয়, তোমার পিতা বা অন্য কারো সুখের জন্যও নয়, মা ভবানী তার নিজের কার্য্যের জন্য তোমাকে তঁার এই দাসীর কোলে দিয়াছেন । তুমি আমার নও,-ভবানীর। তুমি তার ধন, তার কার্য্যে তোমাকে সঁপিয়া দিব বলিয়াই তিনি তোমাকে আমার হাতে দিয়াছেন। তিনিই তোমার মা, তিনিই তোমার ইষ্টদেবী। তার পায়ে মনপ্রাণ ঢালিয়া দিয়া,-তিনি যে পথে চালান, সেই পথে নির্ভয়ে চলিবে । তিনি তোমাকে শক্তি দিবেন, অভয় দিবেন, সকল বিপদে রক্ষা কৱিবেন। নির্ভয়ে মনপ্রাণ সঁপিয়া পাপময় ভারতে আবার মা ভবানীর ধর্ম্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা কর। প্রাচীন কালে ভারতে যে সব মহাপুরুষ ও মহাবীরগণ জন্মগ্রহণ করিয়া দেবতা ও ধর্ম্মের মহিমা প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন, সেই সব মহাপুরুষের কথা, তঁহাদের গুণের কথা, মহত্ত্বের কথা, কীর্ত্তির কথা সর্বদা মনে করিবে । তঁহাদের মত হইয়া দেবতা ও ধর্ম্মের গৌরবে। আবার যাহাতে এই হতভাগ্য দেশ গৌরবময় করিতে পার, সর্বদা প্রাণে মনে সেই চেষ্টা করিবে। লক্ষণ ও অৰ্জ্জনের মত বীরত্বে ধর্ম্মে ও
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।