জিজাবাই । à 86: ধর্ম্ম তিনি বড় মনে করিতেন। তিনি জানিতেন, তাহার অভাবে স্বামীর গৃহধর্ম্ম পালনে কোন কষ্ট বা অসুবিধা হইবে না, কারণ র্তাহার। সপত্নী তুকাবাই স্বামীর সঙ্গে আছেন। তুকাবাইএর হাতে স্বামীসেবা ও স্বামীর গৃহ ধর্ম্ম পালনের ভার সন্তুষ্ট চিত্তে সপিয়া দিয়া, মহাপ্রাণা জিজা পুত্রের সংসারের কর্তৃত্ব গ্রহণ করিলেন । শিবাজির যখন কুড়ি বৎসর বয়স, তখন দান্দোজি কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হন । দান্দোজি যে শিবাজির কত বড় সহায়, দাদোজির অভাবে যে আর কাহারো দ্বারা সে অভাব পূর্ণ হইবার নহে, তাহা জিজা জানিতেন। পুত্র ও পুত্রবধু লইয়া দিবা রাত্রি জিজা দান্দোজির শুশ্রুষায় নিযুক্ত রহিলেন। কিন্তু বৃদ্ধ ও জরাজীর্ণ শরীর রোগের এ কঠোর আক্রমণ সহ্য করিতে পারিল না। দান্দোজিও বুঝিলেন তঁহার মৃত্যু নিকটে । তিনি শিবাজিকে রাজ্য স্থাপন ও রাজ্য পালন, রাজ ধর্ম্ম ও প্রজাধর্ম্ম সম্বন্ধে অনেক উপদেশ দিয়া কহিলেন,— “শিব, আমি চলিলাম বলিয়া দুঃখিত ও নিরাশ হইও না। বাল্যকাল হইতে তোমাকে যাহা শিখাইয়াছি, এখন তোমাকে যাহা বলিলাম, সব য়ুদি তাহা মনে রাখি, যদি কায়মনোবাক্যে সেই শিক্ষা ও উপদেশ অনুসারে চল, তবে আমি মরিয়াও জীবিতের ন্যায় তোমার কাছে রহিব । তারপর, তোমার মা রহিয়াছেন, আমা অপেক্ষা ইনি তোমার কম সহায় নন। গৃহকার্য্যে, ধর্ম্মকার্য্যে ও রাজকার্য্যে ইহাকে ঈশ্বরের মত
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।