জিজাবাই । এই আগুন বুকে লইয়া সকলে যুদ্ধ যাত্রা করিলেন। যাত্রাকালে শিবাজি জননীর নিকটে গিয়া তাহার চরণে প্রণাম করিয়া আশীর্ববাদ ভিক্ষা করিলেন । জিজা কহিলেন,—“যাও শিবা, ভবানীর পুত্র তুমি, ভবানীর চরণসেবায় দীক্ষিত। ভবানীর ইচ্ছায়, ভবানীর আশীৰ্বাদে হিন্দুর দেবতা ও ধর্ম্মরক্ষা তোমার জীবনের ব্রত। তোমার সমক্ষে, তোমার শত্রু আজ ভবানীর এমন অবমাননা, হিন্দুর দেবতা ও ধর্ম্মের এমন লাঞ্ছনা করিয়াছে, যদি ইহার উপযুক্ত প্রতিশোধে দেবতা ও ধর্ম্মের নষ্ট সম্মান আবার ফিরাইয়া না আনিতে পারি, তবে বৃথা আমার সাধনা, বৃথা তোমার জন্ম জীবন, বৃথা তোমার শিক্ষা দীক্ষা, বৃথা তোমার জীবনের ব্রত, বৃথা তোমার রাজধর্ম্ম । যাও শিববা, মনে প্রাণে যদি ভবানীর সেবক হও, হৃদয়ের শোণিত দানে, সর্বস্ব ত্যাগে যদি ভবানীর মান রাখিতে সত্যই প্রস্তুত হও, ভবানীর আশীৰ্বাদ ভবানীর এই ধর্ম্মযুদ্ধে তোমাকে জয়যুক্ত করিবে। যাও শিববা, ভবানীর পায়ে মন প্রাণ সপিয়া বীররঙ্গে নাচিয়া নাচিয়া যুদ্ধে যাও, ভবানীর দানবদলনী ত্রিলোকত্রাসিনী, বিশ্ববিজয়িনী শক্তি তোমার ও তোমার সহচরগণের হৃদয়ে ও অসিতে সঞ্চারিত इ7क ” শিবাজি যুদ্ধে গেলেন। শিবাজির কৌশলে আফজল খাঁ নিহত ও তাহার সৈন্য একেবারে বিধবন্ত হইল। -
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।