t अiरी-नांद्वौ । বিজয় গৌরবে বীর বীরমাতার চরণে ফিরিয়া আসিলেন। আনন্দের অশ্রু ফেলিতে ফেলিতে জিজা বিজয়ীপুত্র ও তাহার সহচরীগণকে নিজে আসিয়া বিজয়মাল্য দানে সম্বন্ধনা করিলেন। শিবাজির বিজয়গৌরব ও রাজ্যবিস্তারের কথা সাহিজি সকলই শুনিতেছিলেন । তঁর বড় ইচ্ছা হইত, বংশের গৌরব, জাতির গৌরব, দেশের গৌরনস্বরূপ এমন পুত্রকে একবার চক্ষে দেখেন, বুকে ধরেন ! কিন্তু নানারূপ বিবেচনায় প্রাণের এ বাসনা তিনি বহুদিন দমন করিয়া রাখেন। বিজাপুরের রাজকর্ম্ম ছাড়িয়া তিনি একেবারে পুত্রের নিকট গিয়া থাকিতে ইচ্ছা করেন না, কারণ, তিনি জানিতেন, তাহার উপস্থিতিতে শিবাজির স্বাধীন শক্তি বিকাশে কিছু বাধা হইতে পারে। আর, বিজাপুরের রাজকর্ম্মে থাকিয়াও বিজাপুরের শত্রু পুত্রের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ দুরের কথা, কোন সম্বন্ধ পর্য্যন্ত রাখাও বিশেষ সন্দেহের কারণ হইতে পারে। সুতরাং এ সম্বন্ধে সাহিজি নিতান্ত সতর্কতার সঙ্গে চলিতেন। মহৎ হৃদয় সাহিজি এমন বিশ্বস্তভাবে রাজকার্য্য নির্বাহ করিতেন, যে, বিজাপুররাজ কোনরূপ সন্দেহ না করিয়া প্রথম সেই কারামুক্তির পর বরাবর তাহাকে কর্ণাটের শাসনকর্ত্তা ও সেনাপতির পদে নিযুক্ত রাখিয়াছেন। এইবার সাহজির মনোবাসনা সিদ্ধির বিশেষ সুযোগ উপস্থিত হইল। বিজাপুররাজ শিবাজির সঙ্গে ক্রমে যুদ্ধ চালাইতে অসমর্থ হইলেন । তঁহাদের ইচ্ছায় সন্ধির প্রস্তাব লইয়া সাহিজি শিবাজির নিকট গমন করিলেন ।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।