আর্য্য-নারী। করিলেন না। তৃতীয় শ্রেণীর ওমরাহগণের মধ্যে তিনি শিবাজির বসিবার আসন নির্দিষ্ট করেন। এই অবমাননায় ক্রুদ্ধ শিবাজি দরবার হইতে বাসগৃহে ফিরিয়া আসিলেন। বাদাসাহের আদেশে সেই গৃহের চারিদিকে মোগল-প্রহরী বসিল । মোগলের বিশ্বাসঘাতকতায় শিবাজি বন্দী হইলেন। মারাঠারা এই দারুণ দুঃসংবাদে স্তস্তিত হইয়া রহিল। জিজাবাই ইষ্টদেবী ভবানীর আরাধনা করিয়া কহিলেন,-“মা, তোমার ইচ্ছা তুমিই জান। শিকিবা আমার নয়, তোমার। যে বিপদেই সে পড়ুক, তোমার কার্য সাধনে যদি তোমার দাসের প্রয়োজন থাকে, তুমি তাকে রক্ষা করিবেই। কিন্তু মা, আমি দুর্বল রমণী। শিকিবা আমার জীবনসর্ববস্ব। এই দারুণ বিপদের ভার সহিতে তোমার এ দাসীকে বল দাও মা ! আমার হাতে শিকবা তার ধর্ম্মরাজ্যের ভার রাখিয়া গিয়াছে, শক্তি দাও মা, যেন তার রাজশক্তি আমি অক্ষুন্ন রাখিতে পারি। তোমার কৃপায় শিকিবা যখন ফিরিয়া আসিবে, যেন সে দেখিতে পায়, তার বিপদে রাজ্যের কোন অনিষ্ট হয় নাই।” দেবীর ধ্যানে ও আরাধনায় জিজার “হৃদয়ে অপূর্ব শক্তি সঞ্চারিঙ হইল। ধীর ও শান্ত চিত্তে তিনি কর্ম্মচারিগণকে ডাকিয়া উৎসাহবাক্যে তঁহাদের মন হইতে ভয় ও অবসন্নতা দুর করিলেন এবং রাজার বিপদে ও অনুপস্থিতিতে রাজ্যের মাহাতে কোনরূপ অনিষ্ট না হইতে পারে, তাহার জন্য সকল প্রকার সুব্যবস্থা করিলেন ।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।