जिछांबाहै । 9 BC) এদিকে শিবাজি দিল্লীতে বন্দী অবস্থায় আছেন । তিনি বুঝিলেন, চাতুরী ভিন্ন ঔরংজেবের হাত হইতে মুক্তি পাইবার আর কোন উপায় নাই। তখন কিছুদিন এইরূপ ভাব দেখাইলেন, যেন, বন্দী অবস্থায় তিনি বেশ সুখে ও সন্তুষ্ট চিত্তে আছেন, এবং মুক্তি পাইবার জন্য র্তাহার কোন বিশেষ আগ্রহ নাই। তার পর সহসা কঠিন পীড়ার ভাণ করিয়া, পীড়া আরোগ্যের জন্য ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রাদিগকে এবং নানা দেবালয়ে বড় বড় ঝুড়ী করিয়া মিষ্টান্ন পাঠাইতে আরম্ভ করিলেন। প্রতিদিনই বুড়ী ঝুড়ী মিষ্টান্ন বাহিরে যায়, প্রহরীরা ক্রমে অসতর্ক হইল, আর মিষ্টান্নের ঝুড়ী পরীক্ষা করিত না । শেষে একদিন শিবাজি পুত্র শম্ভাজিকে এক বুড়ীতে বসাইলেন এবং নিজে আর এক বুড়ীতে বসিলেন। উপরে মিষ্টান্ন দিয়া বুড়ী ঢাকা হইল। অনুচরগণ বুড়ী লইয়া দিল্লীর বাহিরে চলিয়া গেল। সন্ন্যাসীর বেশ ধরিয়া শিবাজি ও শাস্তাজি দুইজন অসুচির সহ মথুরা এবং অন্যান্য তীর্থ ঘুরিয়া রায়গড়ে ফিরিয়া আসিলেন । কর্ম্মচারিগণ সন্ন্যাসীবেশধারী শিবাজি এবং তাঁহার পুত্র ও অনুচর দ্বায়কে চিনিতে পারিলেন না। সন্ন্যাসীরা কেন আসিয়াছেন জিজ্ঞাসা করায় শিবাজি কহিলেন,-“আমি শিবাজির জননী এই দুর্গের শাসনকত্রী জিজাবাইএর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে চাই । আমাদের বাসনা আমি তার কাছেই खानांदेद ।”
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।