fou 3D i YA ) (b) শিবাজি ফিরিয়া আসিবার পর ঔরংজেব ভঁাহাকে দমন করিবার জন্য র্তাহার। প্রসিদ্ধ অনেক সেনাপতিকে দক্ষিণ ভারতে পাঠাইলেন। কিন্তু কেহই শিবাজির রাজ্যের কোন অনিষ্ট করিতে পারিলেন না। বরং শিবাজিই অনেক দুগজয় করিয়া র্তাহার রাজ্য বিস্তৃত ও দৃঢ় করেন। কিছুকাল পরে গাৰ্গভট্ট নামক একজন প্রসিদ্ধ কাশীবাসী মারাঠা ব্রাহ্মণপণ্ডিত শিবাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসেন । শিবাজি রাজা উপাধি গ্রহণ করিয়া রাজ্য শাসন করিতেছেন সত্য, কিন্তু এ পর্য্যন্ত শাস্ত্রের বিধি অনুসারে অভিষেক। তঁহার হয় নাই। গাগভট্ট তাহাকে অভিষিক্ত হইতে উপদেশ দিলেন । এই উপদেশ অনুসারে মাতার আদেশ লইয়া শিবাজি মহাসমারোহে অভিষেক-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করিলেন । ধর্ম্মের ও শাস্ত্রের বিধান অনুসারে, জিজার জীবনের সাধনার আজ পূর্ণ সিদ্ধি হইল। জীবনের লক্ষ্য ও কর্ত্তব্য যেন পূর্ণ হইল। এইরূপে ইহজীবনের সকল সাধ, সকল সাধনা পূর্ণ হইবার অল্প পরেই, বৃদ্ধ বয়সে পুত্র-পৌত্রাদির সমক্ষে পূণ্যময়ী প্রাতঃস্মরণীয়া মহারাত্নগর্ভা জিজা স্বৰ্গারোহণ করিলেন। জননীর প্রাণঢালা সাধনায় গঠিত শিবাজি, জননীর প্রাণের কতখানি মহত্ত্ব পাইয়াছিলেন, কত মহৎ হইতে পারিয়াছিলেন, এবং জিজার ধীরকর্তব্য বুদ্ধি কতদূর ছিল, তৎসম্বন্ধে আর দুইটি উদাহরণ দিয়া আমরা এ আখ্যান সমাপ্ত করিব । শিবাজির নেতৃত্বাধীনে যখন মারাঠা জাতির অভু্যুদয়, সেই
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।