298 আর্য্য-নারী । সময় সে দেশে অনেক সংসারত্যাগী সাধুপুরুষের আবির্ভাব হয়। হঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ, যাহাতে হিন্দুর মধ্যে স্বাধীন জাতীয় শক্তির অভু্যুথান হয়, এই উদ্দেশ্যে হিন্দুর মনে জাতীয় জীবনের উদ্দীপনাই সন্ন্যাস-জীবনের মুখ্যত্রত বলিয়া গ্রহণ করেন। মাহাত্মা রামদাস স্বামী হঁহাদের মধ্যে প্রধান। শিবাজি ইহার নিকট মন্ত্রদীক্ষা গ্রহণ করেন । সন্ন্যাসীর, ভিক্ষাই উপজীবিকা। শিষ্য রাজা হইলেও কোন মূল্যবান উপহার বা দক্ষিণা শিষ্যের নিকট সন্ন্যাসীরা গ্রহণ করেন না । ভিক্ষা করিতে একবার রামদাস স্বামী শিবাজির রাজধানীতে আসেন। দীক্ষাগুরু ভিক্ষার্থীরূপে উপস্থিত, শিবাজি তাহার সমস্ত রাজ্য ভিক্ষাস্বরূপ, স্বামীজিকে দান করিলেন। স্বামী কহিলেন,-“শিকিবা এ কি করিতেছি ? রাজ্য দিয়া আমি কি করিব ? তোমার রাজ্য তুমি ফিরিয়া লও । * আমি সন্ন্যাসী ; দিনের অন্ন দিনে ভিক্ষা করি। আজকার মত অল্প মাত্র আমাকে দাও ।” শিবাজি রাজ্য ফিরাইয়া লইতে কিছুতেই স্বীকৃত হইলেন না । বরং সংসার ত্যাগ করিয়া স্বামীর সন্ন্যাসীশিষ্য হইবেন। এরূপ ইচ্ছা জানাইলেন। হিন্দুর মধ্যে স্বাধীন জাতীয় শক্তির জাগরণই রামদাসের সন্ন্যাসীজীবনের প্রধান ব্রত। সেই জাতীয় শক্তি জাগরিত হইয়াছে, শিবাজিই তাহার অধিষ্ঠাতা। শিবাজি সংসার ত্যাগ করিলে, এই নূতন উত্থিত শক্তি একেবারে ভাজিয়া পড়িবে ! l
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।