মালবাই দেসাইন। তোমরা ক্ষত্রিয়, আসার জীবনের মায়ায় তোমরা পরের অধীন হইবে ? দুঃখের জীবন কি আরো দুঃখময় করিবে ? ভয় পাইও না, ভাবিও না। মৃত্যু মানুষের অবশ্যম্ভাবী নিয়তি। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে শত্রু মারিতে মারিতে শত্রুর অসিতে যে মরিতে পারে, মরণ তাহারই সার্থক। মরণে সে-ই ইহলোকে অনন্ত কীর্ত্তি, পরলোকে অক্ষয় স্বৰ্গ লাভ করে। আমি তোমাদের মা, আমি তোমাদের রাণী । অসি ধরিয়া রণরঙ্গিণী বেশে আমি নিজে শত্রুর সম্মুখে দাড়াইব, যদি মাতৃভক্ত রাজভক্ত কেহ থাক, আমার মান রাখিতে, দেশের মান রাখিতে, বীরদাপে আমার সঙ্গে যুদ্ধে চল। ক্ষুদ্র বল্লারীর বীরত্বে মারাঠারাজকে স্তম্ভিত কর।” রাণীর বীরত্নময় বাক্যে বীরমদে ও রাণমন্দেমত্ত হইয়া সৈন্যগণ অদম্য উৎসাহে রাণীর নেতৃত্বে দুৰ্গরক্ষার জন্য প্রাণপণ করিতে প্রস্তুত হইল। রাণী নিজে সৈন্য চালনা করিয়া অবিশ্রান্ত যুদ্ধে সাতাইশ দিন পর্য্যন্ত শিবাজির সৈন্য পরাভূত করিয়া দুৰ্গরক্ষা করিলেন। কিন্তু আর পারিলেন না । যে শিবাজির শক্তির সঙ্গে দিল্লীর মোগল পর্যন্ত আঁটিয়া উঠিতে পারেন নাই, সেই শক্তির সঙ্গে এমন ক্রুদ্র শক্তি লইয়া মালবাই আর কতদিন যুঝিবেন ? এতদিন যে যুঝিয়াছেন, ইহাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট বীরত্ব ও রণকৌশলের পরিচয়। শেষদিনে মারাঠা সেনার প্রবল আক্রমণে বল্লারী দুর্গের প্রাচীরের এক ধারা ভাঙ্গিয়া পড়িল । বর্ষার প্রবল প্লাবনের বেগে সেই ভগ্নপথে মারাঠা সেনা দুগে প্রবেশ করিল।• দুর্গ শিবাজির হস্তগত হইল।” মালবাই R
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।