তারাবাই । SS চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু সাহুর দুর্বলতায় তাহার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে,-পেশোয়া সাবিত্রীবাইএর বিরুদ্ধতার এই সকল কথাই জানিতেন। তিনি মনে করিলেন, যদি সাবিত্রীবাইএর ইচ্ছামত কোহলাপুরের রাজাকে সাহু পোষ্যপুত্র ও উত্তরাধিকারীরূপে গ্রহণ করেন, তবে সে রাজা সাবিত্রীর ইচ্ছামতই চলিবেন এবং তঁাহার নিজের প্রভুত্ব সব লোপ পাইবে। বৃদ্ধ তারাবাই এখনো জীবিতা । বাৰ্দ্ধক্যেও উর্তাহার তেজস্বিতা ও দৃঢ়তা পূর্বের ন্যায় প্রবল ছিল। শিবাজির রাজ্যে শিবাজির বংশধরগণের প্রভুত্ব লোপ পাইল, সহস্ৰ চেষ্টা করিয়াও তিনি সে প্রভুত্ব রক্ষা করিতে পারিলেন না, এই চিন্তার যাতনায়, দারুণ জ্বালাময় রোষে পিঞ্জরাবদ্ধ বৃদ্ধা সিংহিনীর ন্যায় তিনি শেষ জীবন কাটাইতেছিলেন। সাবিত্রীবাইএর বিরুদ্ধত হইতে আত্ম প্রভুত্ব রক্ষা করিবার জন্য পেশোয়া বলজি বাজিরাও এখন তারাবাই এর শরণাপন্ন হইলেন । • • রামরাজা নামে তারাবাইএর একটি পৌত্র জীবিত ছিল। পেশোয়া গোপনে এই প্রস্তাব করিলেন, সাহু ইহাকে উত্তরাধিকারীরূপে গ্রহণ করিবেন। সাহুর মৃত্যুর পর রাজার উপাধি ও সম্মান ইনি ভোগ করিবেন ; কিন্তু, রাজ্যশাসনের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব পেশোয়ার হাতে থাকিবে, সাহু এইরূপ লিখিয়া দিবেন। পেশোয়ার হাতের পুতুল সাহু সহজেই এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। তারাবাই দেখিলেন, “ পেশোয়াকে দমন করিয়া
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।