অহল্যাবাই । Ridd তঁহাদের অপমান করাইতেন । দেবসেবা ও ব্রাহ্মণসেবা অহল্যার নিত্যকর্ম্ম ছিল, মালেরাও নানারূপ নিষ্ঠর ও ঘৃণিত উপায়ে নিমন্ত্রিত ব্রাহ্মণদিগের লাঞ্ছনা করিতেন। কখনো বস্ত্র ও পাদুকাব মধ্যে বৃশ্চিক রাখিয়া ব্রাহ্মণদিগকে পরিতে দিতেন। কখনো টাকার কলসীতে সাপ রাখিয়া ব্রাহ্মণদিগকে ইচছামত তাহার মধ্য হইতে টাকা তুলিয়া নিতে বলিতেন। মালেরাও এইরূপ সব অদ্ভুত ব্যবহার করিতেন। শ্বশুর থাকিতে অহল্যা যেমনই সুখে ও সম্মানে ছিলেন, এখন তেমনই দুঃখে কঁাদিয়া তার দিন যাইতে লাগিল। পুত্র রাজ্যেশ্বর ; কোন বিষয়ে কোনরূপ প্রতিকার করা ऊँीशन आग्रह छिण भी। कि कब्रिहवन ? भशeभा नानी কঁাদিয়া দেবতার নিকট এমন অপদার্থ পুত্রের মৃত্যু কামনা করিতেন । মালেরাও এর পাপের ভরা পূর্ণ হইয়া উঠিল। মিথ্যা সন্দেহ করিয়া রাজপ্রাসাদের এক শিল্পীর তিনি প্রাণদণ্ড করিলেন । পরে তাহাকে নিরপরাধ জানিতে পারিয়া, মালেরাও এর সহসা ভীষণ অনুতাপ হইল। মালেরাও এর পক্ষে নরহত্যার জন্য এরূপ অনুতাপ বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয়। কিন্তু বিধাতার ইচ্ছায় কখন কিজান্য কি ঘটনা হয়, তাহা মনুন্যের বুদ্ধির অতীত। অনুতাপের ফলে মালেরাও এর সর্বদা মনে হইত, মৃত শিল্পীর প্রেতাত্মা যেন তাহাঁকে মারিতে আসিতেছে। প্রলাপের ঘোরে মালেরাও যে সব কথা কহিতেন, সে সব যেন প্রেতাত্মাই তাহার
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।