Rèb আর্য্য-নারী । অহল্যার যুক্তির সার্থকতা বুঝিয়া এবং মলহরীরাও এর গুণ স্মরণ করিয়া-সকলেই অহল্যার সহায়তার জন্য সৈন্য লইয়া, ইন্দোরের দিকে অগ্রসর হইলেন। নিজের সৈন্য পরিচালন জন্যও একজন সুদক্ষ ও বিশ্বাসী বীরপুরুষের প্রয়োজন। তুকোজি হোলকার নানে মলহররাণ্ড এর অতি নিকট এক আত্মীয় মারাঠা সর্দার ছিলেন । অহল্যা ভঁাহাকে আনাইয়া শাস্ত্রবিধি অনুসারে তঁাহাকে নিজের সেনাপতি ও প্রধান কর্ম্মচারীর পদে নিয়োগ করিলেন । তুকোজিও অহল্যাকে মাতুজি ডাকিয়া সেই দিন হইতে র্তাহার পুত্রস্থানীয় হইলেন। রােজ্যরক্ষার জন্য তিনি যেরূপ আয়োজন করিতেছেন, তাহাতে যুদ্ধে তিনি যে জয়লাভ করিতে পারিবেন, এবিষয়ে র্তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। কিন্তু কোমলপ্রাণী অহল্যা চিরদিনই রক্তপাতের বিরোধিনী ছিলেন । বিনা রক্তপাতে যদি রােজ্যরক্ষা হয়, তবে যুদ্ধে তাহার ইচ্ছা ছিল না। পেশোয়া মাধবরাওকে তিনি ধর্ম্মপরায়ণ যুবক বলিয়া জানিতেন। তাহার জ্ঞাতসারে বা ইচ্ছায় যে রঘুনাথ এমন অন্যায় কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, এরূপ তাহার মনে হইল না। তিনি সকল কথা জানুইয়া পেশোয়াকে এক পত্র লিখিলেন । সেই সঙ্গে রঘুনাথের নিকটও লিখিলেন,-“আপনি আমার রাজ্য হরণ করিতে আসিতেছেন, আমিও রাজ্য রক্ষার জন্য যুদ্ধের আয়োজন করিতেছি। আপনাদের ধংশ চিরদিনই
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।