পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRo चांद-बांद्री । তিনি অহল্যার সঙ্গে অনেক আলোচনা করিলেন। কিন্তু কোন যুক্তিতেই তিনি অহল্যাকে এমন বুঝাইতে পারিলেন না, যে, সম্পূর্ণরূপে পেশোয়ার অনুগত হইয়া পেশোয়ার আদেশপালনই তাহার পক্ষে ধর্ম্মসঙ্গত কার্য্য । তখন তিনি অহল্যাকে পোষ্য গ্রহণ করিয়া তাহাকে রাজ্যের অধিকারী করার আবশ্যকতা বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন। কিন্তু অহল্যা তাহার সকল যুক্তি খণ্ডন করিয়া কহিলেন,-“আমার পুত্র মালেরাও এর কোন শিশুপুত্র থাকিলে ধর্ম্মবিধানে সেই রাজ্যের অধিকারী হইত সন্দেহ নাই। কিন্তু নূতন পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিলে কালে সে কিরূপ চরিত্রের লোক হইবে, বলা যায়। না । পোষ্যগ্রহণ করিয়া কেন অনর্থক রাজ্যের ভবিষ্যৎ সুখশান্তিকে বিপদাপন্ন করিব ? তার চেয়ে আমার মৃত্যুকালে হোলকার বংশীয় কোন যোগ্য লোকের হাতে রাজ্যভার দিয়া যাইব, সেই ভাল। পোন্যগ্রহণ করা অপেক্ষা এখনই সেইরূপ কোন লোক নির্বাচিত করিয়া তাহাকে আমার রাজ্যশাসনের সহযোগী করিব, আমার এইরূপ ইচ্ছা । রাজ্যের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের পক্ষেও ইহাই শ্রেষ্ঠ উপায়।” • রঘুনাথ বুঝিলেন অহল্যা ভুলিবার ওঠকিবার পাত্রী নহেন। তিনি নিরন্ত হইলেন । অহল্যা পূর্বেই মনে মনে আপনার ভাবী উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করিয়াছিলেন। তুকোজি তাহার শ্বশুরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং সর্ববিষয়ে রাজ্যশাসনের যোগ্য লোক ।