অহল্যাবাই । RR) হাতে যুদ্ধ বিগ্রহ, এবং রাজ্যের আভ্যন্তরিক শাসন ও শৃঙ্খলারক্ষার ভার দিলেন। তাহার নির্দিষ্ট নীতি অনুসারে, সাধারণ ভাবে তাহার আদেশ লইয়া তুকোজি তাহার প্রতিনিধি স্বরূপ এই সব কঠোর রাজকীয় কার্য্য পরিচালনা করিবেন, এই ব্যবস্থা হইল । অহল্যা সাধারণভাবে তুকোজির কার্য্য পরিদর্শন করিয়া, সমস্ত অবসর ধর্ম্মানুষ্ঠানে ও প্রজার সুখশান্তিবিধানে নিয়োগ করিলেন। ৩০ বৎসর কাল অহল্যা রাজত্ব করেন। কখনো রাজ-গৌরবে গৌরবিনী শক্তিশালিনী তেজস্বিনী রাণী রূপে, কখনো প্রজার চিরস্নেহময়ী জননী ও নিত্যকরুণাময়ী পালিনী রূপে, কখনো বিপুল ঐশ্বর্য্যের অধিকারিণী ধর্ম্মপরায়ণা হিন্দুরমণীরূপে এবং সকল অবস্থায়, সকল কর্ত্তব্যের মধ্যে, কঠোর ব্রতচারিণী হিন্দু বিধবারূপে,-রাজত্বের এই ত্রিশবৎসরকাল অহল্যা যে কত মহত্ত্ব দেখাইয়া গিয়াছেন, ক্ষুদ্র আখ্যায়িকায় তাহার বিস্তৃত বর্ণনা হওয়া অসম্ভব । নারীদুলভ অসংখ্য গুণে অহল্যা ভারতে যশস্বিনী ও ভারতের হিন্দুমুশলমান সকল রাজার বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্রী হইয়াছিলেন। রাজাদের মধ্যে তখন অবিরত যুদ্ধ চলিত। কিন্তু অহল্যার প্রতি ভক্তিবশতঃ কেহই বড় অহল্যার রাজ্য আক্রমণ করেন নাই । বরং কোন শত্রুর আক্রমণ হইতে র্তাহার রােজ্যরক্ষা করিতে তাহারা প্রস্তুত থাকিতেন। সকলেই অহাল্যার প্রতি আপনাদের বন্ধুত্ব দেখাইবার সুযোগ পাইলে
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।