RRte v6-a ধর্ম্মানুষ্ঠানে বেসি মন ও সময় দিলে, রাজকার্য্যের ব্যাঘাত হয়। কিন্তু অহল্যার পক্ষে এরূপ কখনো ঘটে নাই। প্রত্যহ ছয় ঘণ্টার অধিককাল তিনি ধর্ম্মানুষ্ঠানে যাপন করিতেন ; ৮৯ ঘণ্টা রাজকার্য্য করিতেন। বাকী কালটুকু মাত্র আহার ও বিশ্রামাদি কার্য্যে যাইত । যাহাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের অভ্যাস, বাধা নিয়মে শৃঙ্খলা মত ধারা কাজ করিতে পারেন, তাহারা জীবনের সকল কর্ত্তব্যই সুচারুরূপে করিয়া যাইতে পারেন। এ সম্বন্ধে অহল্যার দৃষ্টান্ত কা’র না অনুকরণীয় ? দয়া ও ন্যায় এই দুইটিই প্রজার প্রতি রাজার রাজধর্ম্মের প্রধান অঙ্গ। আদর্শনারী অহল্যা পূর্ণভাবে এই দুইটি ধর্ম্ম পালন করেন। তিনি সর্বদা বলিতেন, “দেবতা আমার হাতে যে রাজক্ষমতা দিয়াছেন, প্রজার মঙ্গলে সেই ক্ষমতার যোগ্য ব্যবহার করিবার জন্য দেবতার কাছে আমি দায়ী ।” সকল কার্য্যেই তাহার এই উচ্চদায়িত্ববোধ পূর্ণরূপে প্রকাশ পাইত। তখন অবিরত যুদ্ধ-বিগ্রহের বিপ্লবের মধ্যে মারাঠা রাজ্যগুলি কেবল গঠিত হইয়া উঠিতেছিল। সুতরাং ভূমিতে প্রজার স্বত্ব অথবা রাজাকে দেয় রাজস্ব সম্বন্ধে এসব দেশে পাকা নিয়ম কিছু ছিল না।” ফলে রাজা ও রাজকর্ম্মচারীদের অবাধ ও অনিয়ন্ত্রিত শক্তিতে প্রজাদের অনেক অসুবিধা এবং কষ্ট ভোগ করিতে হইত। অহল্যা রাণী হইয়াই রাজ্যের সমস্ত ভূমির পরিমাপ করাইলেন, এবং রাজত্ব সম্বন্ধে প্রজাদের সকল
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।