আর্য্য-নারী। স্ত্রী পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিলেন। অহল্যার কোন লোভী কর্ম্মচারী বণিকের স্ত্রীকে বলিলেন,-“যদি আমাকে তিন লক্ষ টাকা না দাও, তবে রাজসরকারে তোমার পোষ্য পুত্র অগ্রাহ করাইয়া, তোমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাইব ।” বণিকপত্নী * অহল্যার দয়া ও ন্যায়পরতার কথা শুনিয়াছিলেন । তিনি ছেলেটিকে কোলে করিয়া অহল্যার দরবারে আসিয়া কঁাদিয়া কর্ম্মচারীর ব্যবহার সম্বন্ধে অভিযোগ করিলেন । অহল্যার কোমল হৃদয় গলিয়া গেল । তিনি ছেলেটিকে কোলে করিয়া তাহাকে চুম্বন করিলেন এবং বহুমূল্য উপহার দিলেন। বণিকপত্নীকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন,-“মা, তোমার কোন ভয় নাই। তোমার স্বামীর সম্পত্তি তোমার দত্তক পুত্রই পাইবে। অত্যাচারী কর্ম্মচারীর উপযুক্ত শাস্তি আমি এখনি দিব।” এই বলিয়া কর্ম্মচারীকে তৎক্ষণাৎ পদচ্যুত করিলেন। কৃতজ্ঞচিত্তে বণিকপত্নী রাণীকে অনেক উপহার দিতে চাহিলেন। অহল্যা কিছু গ্রহণ করিলেন না। a আর একবার তঁাহার প্রজাদের মধ্যে দুই ভাই অনেক সম্পত্তি রাখিয়া মরিল। উওরাধিকারী কেহ ছিল না। বড় ভাইএর স্ত্রী দত্তক পুত্র না। রাখিয়া সম্পত্তি অহল্যাকে দিতে আসিলেন । অহল্যা কহিলেন,-“সে কি মা ? তোমার স্বামীর সম্পত্তি তুমি ভোগ করিবে। আমি কেন ইহা লইব ?” বিধবা কহিলেন,-“রাণী মা, আমি বিধবা । ভোগ আমার উঠিয়া গিয়াছে। সম্পত্তি দিয়া আমি কি করিব ? পরের ছেলে
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।