অহল্যাবাই । R9 জলপান করাইবার জন্য অহল্যার লোকজন জলপাত্র লইয়া ক্ষেতের কাছে ঘুরিত। মাছের আহারের জন্য নির্ম্মাদার জলে ছাতু ও গমের মণ্ড ফেলা হইত। পাখীদের খাইবার জন্য শস্যপূর্ণ ক্ষেত্র নির্দিষ্ট থাকিত। শ্রান্ত ক্লান্ত মানব, পশু পক্ষী, মৎস্য, সকলেই অহল্যার দানে তৃপ্ত হইত। সকল জীবের তৃপ্ত প্রাণের স্বাভাবিক আশীৰ্বাদ অহল্যার পরলোকের মঙ্গলের জন্য নিত্য ভগবানের চরণে পৌছিত। অহল্যার দানধর্ম্ম যে কেবল নিজের রাজ্যমধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তা নয়। ভারতে এমন তীর্থস্থান নাই, যেখানে তিনি দেবসেবার জন্য মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বা সংস্কার করেন নাই ; লোকসেবার জন্য অন্নসত্র জলসত্র দান করেন নাই। ধর্ম্মের জন্য তিনি অকাতরে এত অর্থব্যয় করিতেন, যে, দক্ষিণ ভারতের অনেক তীর্থে প্রত্যহ মন্দির ধুইবার জন্য ও দেবমূর্ত্তি স্নান করাইবার জন্য শত শত ক্রোশ দূর হইতে র্তাহার লোকজন গঙ্গাজল লইয়া আসিত! গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দির এবং কাশীর বিশ্বেশ্বরের মন্দির অহল্যা সংস্কার করেন। অহল্যার একটি ঘাটিও কাশীতে আছে। হিমালয়ে দুৰ্গম কেদারনাথ তীর্থে তিনি একটি ধর্ম্মশালা ও কুণ্ড নির্ম্মাণ করেন। অহল্যার কীর্ত্তি এখনো অনেক তীর্থে বর্ত্তমান আছে। হিন্দু তীর্থযাত্রী বােধ হয় এমন কেহই নাই, যিনি অহল্যার নাম শোনেন নাই, অহল্যার কীর্ত্তি কোন না কোন তীর্থে দেখেন নাই । গৃহেও নিত্য দেবসেবা, অতিথি সৎকার, ব্রাহ্মণ কাঙ্গালীর
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।