RISOR vis-art ভোজন ও দান প্রভৃতি ধর্ম্মানুষ্ঠান হইত। হিন্দুরমণীর করণীয় ব্রত ও উপবাসাদি কিছুই অহল্যার বাদ যাইত না। সহস্ৰ সহস্ৰ দীনদুঃখী এই সব অনুষ্ঠানে আহারে ও দানে তুষ্ট হইত। ধর্ম্মানুরাগ তাহার যার-পর-নাই প্রবল ছিল। ধর্ম্মানুষ্ঠানে তিনি অকাতরে অর্থব্যয় করিতেন। কিন্তু ধর্ম্মবিশ্বাসে কোনরূপ সঙ্কীর্ণতা তঁহার ছিল না। প্রজাদের ধর্ম্মবিশ্বাসে বা ধর্ম্মানুষ্ঠানে তিনি কখনো কোন বাধা দেন নাই। সকল ধর্ম্মের সকল সম্প্রদায়ের লোকই বিনা বাধায় বিনা উৎপীড়নে তঁাহার রাজ্যে নিজ নিজ ধর্ম্মবিশ্বাস মত চলিত । ব্যক্তিগত জীবনে অহল্যার কোন আড়ম্বর, কোন ভোগ ও সুখের লালসা ছিল না । বিধবা হইয়া অবধি কঠোরতম ব্রহ্মচর্য্যের নিয়মে তিনি চলিতেন। কোন সুখাদ্য কখনো তিনি খাইতেন না, রাজকর্ত্তব্যের প্রয়োজন ছাড়া ভাল বসন কখনো পরিতেন না, ভাল বিছানায় কখনো শুইতেন না, কোন বিলাস ত্রাব্য কখনো স্পর্শও করিতেন না । • বিনয় ও নিরহঙ্কার তাহার এতদূর ছিল যে, আপনার কোন শুতিবাক্য তিনি কখনো শুনিতে ভালবাসেন নাই বা কোন স্তুতিবাদককে কখনো প্রশ্রয় দেন নাই। এই সম্বন্ধে বড় সুন্দর একটি গল্প আছে। Y, কোন ব্রাহ্মণ পুরস্কারের লোভে অহল্যার কীর্ত্তিবর্ণনা করিয়া একখানি পুস্তক লেখেন। পুস্তকের অনেক স্থলে অহল্যার অনেক স্তুতি ছিল। ব্রাহ্মণ অহল্যাকে পুস্তক পড়াইয়া
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।