অহল্যাবাই । ROA জয়পুররাজ তুকোজিকে বলিয়া পাঠাইলেন,-“আপনাদের ন্যায় সিন্ধিয়া রাজসরকার হইতেও আমার নিকট করের দাবী করেন। এখন আপনাদের মধ্যে যিনি বেসি শক্তিশালী, আমি তাহাকে করা দিব ।” জয়পুররাজের এই উত্তরে তুকোজি যুদ্ধের আয়োজন করিালেন। কিন্তু সহসা অতর্কিত অবস্থায় জীউকদাদা তাহাকে আক্রমণ করেন। তুকেজি পরাজিত হইয়া কোন দুর্গে আশ্রয় লইয়া অহল্যার নিকট আরো অর্থ ও সৈন্য সাহায্য চাহিয়া পাঠান। তুকোজির পরাজয়ের সংবাদে রোষ্যে ও ক্ষোভে অহল্যা কহিলেন,-“ধিক ! বীর হইয়া তুকোজি হোলকার রাজ্যের চিরগৌরবে এমন কলঙ্ক আনিল ! তুকেজি আমার পুত্রের মত স্নেহের পাত্র । কিন্তু আজ তার এই পরাজয়ের সংবাদ অপেক্ষ যুদ্ধে মৃত্যুর সংবাদ পাইলে আমি বেসি সুখী হইতাম।” কিন্তু তখনি তুকোজিকে এই বলিয়া সংবাদ পাঠাইলেন“যাহা হইবার হইয়াছে। তুমি ভীত” কিম্বা নিরাশ হইও না। যত অর্থ লাগে, যত সৈন্য লাগে, দিব, কিন্তু হোলকাররাজ্যের গৌরব রক্ষা করা চাই। “আর, তুমি বৃদ্ধ হইয়া উঠিতেছ। যদি যুদ্ধ চালাইবার সামর্থ্য না থাকে বোঝ, তবে অবিলম্বে আমাকে লিখিবো। আমি নিজে অস্ত্র ধরিয়া যুদ্ধে যাইব । আমিও বৃদ্ধ হইয়াছি বটে, কিন্তু শক্তি এখনো যথেষ্ট আছে। শক্তি আছে বলিয়াই এখনো "রাজ্যশাসন করিতেছি । নহিলো করিতাম না।”
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।