আর্য্য-নারী। 2 ܠ” (8) পরবৎসর মহম্মদ ঘোরী অধিকতর সৈন্য সংগ্রহ করিয়া আবার দিল্লীরাজ্য আক্রমণ করিলেন । আবার সমরসিংহ আসিলেন। আবার সংযুক্ত স্বামীকে বীরবেশে সজ্জিত করিয়া উৎসােহপূর্ণ বাক্যে বিদায় দিলেন। কিন্তু এবার সংযুক্তার মনে প্রথম হইতেই কেমন অমঙ্গল আশঙ্কা হইতেছিল। ইহা বুঝিতে পারিয়া পাছে স্বামীর কোনরূপ চিত্তবিকার ঘটে, তাই সংযুক্তা মনের ভাব চাপিয়া হাসিমুখে তঁহার হাত ধরিয়া তাহাকে উৎসাহিত করিতেছিলেন । কথা শেষ হইল, কিন্তু মুখের হাসি মুখে থাকিতে থাকিতে এক ফোটা অশ্রু, পৃথি রাজের হাতে পড়িল । চকিত হইয়া পৃথিরাজ সংযুক্তার মুখের দিকে চাহিলেন, ংযুক্ত মুখ ফিরাইলেন। পৃথিরাজও আর অপেক্ষা করিলেন না। সেই মুহূর্ত্তে প্রস্থান করিলেন। এইরূপে এ জীবনের মত রাজদম্পতি পরস্পরের নিকট শেষ বিদায় গ্রহণ করিলেন । সংযুক্ত আর আত্মসম্বরণ করিতে পারিলেন না। অশ্রুবদ্ধ কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন,-“এই শেষ ! এ জীবনে আর তোমার সঙ্গে দেখা হইবে না—” o পূর্ববারের ন্যায় এবারও দৃশদ্বতী-তীরে তিরৌরী ক্ষেত্রে হিন্দু ও মুশলমান সেনা সমবেত হইল। একদিন তুমুল যুদ্ধের পর, কুটনীতি-বিশারদ মহম্মদ ঘোরী, সন্ধির প্রস্তাব করিয়া
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।