পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R88 আর্য্য-নারী । ভারতের রাজারা সর্বদা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ করিতেন। অনেকে এই সব যুদ্ধে ইংরেজের সহায়তা লাইতেন। যুদ্ধে জয় হইলে ইংরেজেরও কিছু কিছু রাজ্যলাভ ও শক্তি বৃদ্ধি হইত। ইহাতে ক্রমে ইংরেজের শক্তি ও প্রতিপত্তি বাড়িতে লাগিল । ভারতের রাজারা মোগল শক্তির পতনের পর ভারতময় বিপ্লব ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিজেদের রাজ্য নূতন করিয়া গড়িয়া লাইতেছেন এবং চারিদিকে আবার বহু শত্রুর সঙ্গে যুঝিয়া এই সব নুতন-গড় রাজ্য র্তাহাদিগকে রক্ষা করিতে হইতেছে। কিন্তু ইংরেজের শক্তি সব সুগঠিত ও সুশাসিত, সুদূর ইংলণ্ড হইতে আসিতেছে। ভারতের বিপ্লব, ইংলণ্ডের সুনিয়মে বাধা শাসন শৃঙ্খলা এবং সেই শৃঙ্খলাজাত শক্তি, স্পর্শও করিতে পারিত না । সুতরাং এই সব যুদ্ধবিগ্রহের মধ্যে ভারতের রাজাদের শক্তি অপেক্ষা ইংরেজের শক্তির প্রভাবই বেসি দেখা যাইত । শিখেরা তখনো কেবল নূতন উঠিতেছে। সুতরাং এক মারাঠাশক্তি ভিন্ন ইংরেজের সমকক্ষ হইতে পারে, এমন শক্তি আর দেশে ছিল না। কিন্তু এই মারাঠাশক্তিও পাঁচভাগে বিভক্ত হইল। পাঁচটি রাজ্যে মিল ছিল না ; পরস্পরে শক্রতা বিবাদ ও যুদ্ধবিগ্রহ যথেষ্ট ছিল। পানীপথের যুদ্ধের পর মারাঠারাজারা সকলে এক হইয়া মিলিয়া কোন শত্রুর বিরুদ্ধে দাড়াইতে পারেন এমন সম্ভাবনা ছিল না ।