ቁዓዪb আর্য্য-নারী । বৰ্দ্ধমানের রাজার বিরুদ্ধে উঠিয়া সমস্ত দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ অধিকার করেন । কিন্তু বন্দিনী বৰ্দ্ধমান রাজকন্যার সতীত্ব হরণের চেষ্টা করায়, রাজকন্যার ছুরিকাঘাতে ইহার জীবনের এবং জীবনের সঙ্গে বিদ্রোহ ও নুতন রাজ্যেরও শেষ হইল। তারপর মুরসিদকুলিখার সময়ে ভুষণায় সীতারাম এবং রাজসাহীতে উদয়নারায়ণ বিদ্রোহী হইয়া স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। কিন্তু পরাজিত হওয়ায় দুইজনের রাজ্যই বিধ্বস্ত হইল। পূর্ববঙ্গের জমিদার ইশা খাঁ এবং কেদার রায়ও একবার বিশেষ শক্তিশালী হইয়া স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। কিন্তু তাহাদের চেষ্টাও বিফল হয়। এই স্থলে আর একটি কথাও আমাদিগকে বুঝিতে হইবে। মুশলমানগণ প্রথমে অবশ্য বিজেতারূপেই এদেশে আসেন। কিন্তু বাঙ্গালা জয় করিয়া বাঙ্গালাতেই তাহারা বসতি আরম্ভ করিলেন। বাঙ্গালায় বসতি করায় ক্রমে বঙ্গবিজেতা মুশলমানগণের নিকট বাঙ্গালাই নিজের দেশের মত হইল । তঁহারা বাঙ্গালী হইলেন। বাঙ্গালার মুশলমান নবাব বাঙ্গালী হইলেন ; মুশলমান জায়গীরদার, জমিদার, রাজকর্ম্মচারী, বণিক-সকলেই বাঙ্গালী হইলেন। ক্রমে হিন্দুর সঙ্গে একদেশবাসীর ন্যায় বন্ধুত্ব ও সম্ভাবও ভঁাহাদের হইল। রাজনৈতিকক্ষেত্রে হিন্দুমুশলমানে কোন প্রভেদ রহিল না । নবাবসরকারে শাসন বিভাগে রাজস্ব-বিভাগে, এমন কি, সৈনিক বিভাগে পর্য্যন্ত প্রধান কর্ম্মচারীদের মধ্যে অনেকে হিন্দু।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।