রাণী ভবানী । & ও রঘুনন্দনের সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা বিষ্ণুরামের পুত্র দেবীপ্রসাদ জীবিত ছিলেন। পোস্যপুত্র রামকান্ত এবং দেবীপ্রসাদ অৰ্দ্ধেক অৰ্দ্ধেক জমিদারীর অংশী। কিন্তু, দেবীপ্রসাদ দুরাকাঙক্ষা বশতঃ রামকান্তকে অসিদ্ধ দত্তক প্রমাণ করাইয়া সমস্ত জমিদারী তিনি অধিকার করিবেন, এইরূপ চেষ্টা করেন। রামজীবন তঁহাকে ছয় আনা অংশ দিতে চান, কিন্তু দেবীপ্রসাদ ইহাতে সম্মত হন না । ক্রমে রামজীবন বুঝিতে পারিলেন, দেবীপ্রসাদ জমিদারীর অংশ পাইলে তুমুল গৃহ-বিবাদ উপস্থিত হইবে। সুতরাং তিনি রামকান্তকে সমস্ত জমিদারীর অধিকারী করিয়া যান। জমিদারী তাহারি নামে ছিল, কাজেই এরূপ করিতে র্তাহার কোন অসুবিধা इश्क नीं । ० ইহার পর, রাজসাহীর মধ্যে ছাতিম গ্রামের ব্রাহ্মণ জমিদার আত্মারাম চৌধুরীর কন্যাকে অত্যন্ত সুন্দরী ও সুলক্ষণা দেখিয়া রামজীবন তাহার সঙ্গে পুত্র রামকান্তের বিবাহ দিলেন। এই কষ্ট্যই ভবানী। ভবানী রাজবধু হইয়া রাজগৃহে আসিলেন। রামজীবনের মৃত্যুর পর রামকান্ত রাজা হইলেন ; ভবানী“রাণী ভবানী’ হইলেন । দয়ারাম নামে রামজীবনের একজন অতি চতুর ও বিচক্ষণ কর্ম্মচারী ছিলেন । এই জমিদার।সরকারে এবং এই জমিদারসরকার হইতে ক্রমে নবাব সরকারো পর্যন্ত আপন বুদ্ধি ও শক্তিবলে দয়ারাম বিশেষ প্রাধান্য লাভ করিয়া নিজেও জমিদার পদে উন্নীত হন । ইনিই বর্তমান দীঘাপতিয়া রাজবংশের
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।