ब्रांची छदiमेंौ । আনিতে পারি নাই। স্ত্রীর গায়ে যা অলঙ্কার ছিল, তাই বেচিয়া কোনমতে দিন চালাইতেছি ।” দয়ারাম কহিলেন,-“অন্ততঃ পঞ্চাশ হাজার টাকা না হইলে আবার তোমার জমিদারী ফিরিয়া পাওয়া সম্ভব হইবে না । আমার নিজের হাতে এখন টাকা নাই । বউ-মা কোথায় ? র্তা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে চাই ।” দয়ারাম রাণী ভবানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া তাহাকে সকল কথা বলিলেন। রাণী ভবানী নিজের বহুমূল্য যা’ কিছু অলঙ্কার ছিল সব দয়ারামকে দিলেন । অলঙ্কার বিক্রয় করিয়া দয়ারাম অর্থ সংগ্রহ করিলেন । এই সময় দেবীপ্রসাদ মুরাসিন্দাবাদে ছিলেন এবং প্রত্যহ নবাব-দরবারে যাইতেন । নবাব দরবারে প্রবেশের পথে যত দোকানদার ও লোকজন ছিল, সকলকে দয়ারাম অর্থ দিয়া বশীভুত করিলেন। দেবীপ্রসাদ যখন নবাবদরবারে যাইতেন, পথের দু’ধারের সকল লোকে দয়ারামের উপদেশ মত র্তাহাকে দেখাইয়া, বলিত,-“ঐ কমবক্তা (ভাগ্যহীন ও বুদ্ধিহীন)। বেটা যাইতেছে।” দেবীপ্রসাদ বড় বিরক্ত হইয়া নবাবের নিকট অভিযোগ করিলেন । দিনের পর দিন লোকে ঐ রূপ বলিয়া দেবীপ্রসাদকে পাগল করিয়া তুলিল। নবাবও প্রত্যহ দেবীপ্রসাদের সেই অভিযোগে বড় বিরক্ত হইয়া কহিলেন,-“সকলেই যখন তোমাকে কমবক্তা বলে, তুমি নিশ্চয়ই “কম বক্তা”। এত বড় জমিদারী তোমার হাতে থাকিতে পারে না ।”
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।