রাণী ভবানী । Ryt নারীরূপিণী দেবীর ন্যায় দেবসেবা ধর্ম্মসেবা ও লোকসেবায় বিপুল সম্পত্তি মুক্তহস্তে দান করিয়াছেন। প্রতিভায় ও ধর্ম্মের মহিমায় রাণী ভবানীর মত নারী বাঙ্গালায় আর জন্মগ্রহণ করেন নাই। এক রাণী ভবানীর নামেই বাঙ্গালা চিরদিন গৌরবান্বিত থাকিতে পারে । যথাকালে রাণী ভবানী রঘুনন্দন ভাদুড়ী নামক কোন সদ্বংশজাত ব্রাহ্মণ যুবকের সহিত কন্যার বিবাহ দিলেন। শাশুড়ীর প্রতিনিধি স্বরূপ, জামাতা জমিদারীর উপর কর্তৃত্ব পাইলেন । দয়ারাম এখনো নাটােরের রাজসংসারে একজন প্রধান কর্ম্মচারী ছিলেন । দয়ারামের উপকার স্মরণ করিয়া রাণী ভবানী তাহাকে বিশেষ শ্রদ্ধা করিতেন। সকল কার্য্যেই দয়ারামের * উপদেশ মানিয়া চলিতেন । জমিদারীর উপর জামাতা রঘুনন্দনের কর্তৃত্ব দয়ারামের মনঃপুত হইল না। তিনি জামাতা, এই রাজবংশের তিনি কেহই নন। যে রাজপদে রাজা রামজীবন ও রাজা রামকান্ত সগৌরবে কাল কাটাইয়া গিয়াছেন সেই পদে দরিদ্র-সন্তান রঘুনন্দন কর্তৃত্ব করিতেছেন, দয়ারামের ইহাতে হাসি পাইল। প্রভুভক্ত দরারাম, রাজসংসারে অন্যের কর্তৃত্বে বড় অসন্তুষ্ট হইলেন। একদিন রাণী ভবানী বিশেষ কার্য্যের জন্য তঁহাকে ডাকিয়া পঠাইয়াছেন, দয়ারাম আসিলেন না । বলিয়া পাঠাইলেন, যার তা’র কথায় তিনি রাজকার্য ফেলিয়া যাইতে পারেন না ।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।