রাণী ভবানী । $ክሃፃ অসন্তোষ, এত বিরক্তি কেন ? যাই হ’ক তুমি কোন সুলক্ষণ বালকের অনুসন্ধান কর, আমি তা’কে পোষ্য পুত্র রাখিব।” সন্তুষ্টচিত্তে দয়ারাম রাণীকে প্রণাম করিয়া বাহিরে আসিলেন । কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই রঘুনন্দনের মৃত্যু হইল। অসামান্য রূপবতী রাজকন্যা তারা নবীন যৌবনে বিধবা হইলেন। ংসারিক সুখের একমাত্র অবলম্বন, মাতৃজীবনের একমাত্র মেহের ধন, তাহার বৈধব্যে রাণী ভবানী যে কি মর্ম্মবেদনা পাইলেন, তাহা বাঙ্গালীর ঘরে, হিন্দুর ঘরে কাহাকেও বুঝাইতে হইবে না। এই নিদারুণ যাতনার ছবি পাঠিকারা ঘরে ঘরে দেখিতেছেন । কিন্তু রাণী ভবানীর ন্যায় অসাধারণ মানসিক শক্তির অধিকারিণী যাহারা, ধর্ম্মের জন্য, দেবতার তুষ্টির জন্য, পরকালের কর্ত্তব্যের জন্য, ইহজীবনের সকল সুখ, সকল ভোগবাসনা ত্যাগ করিয়াও শান্তিময় প্রাণে র্যাহারা জীবন যাপন করিতে পারেন, কোন দুঃখে, কোন শোকে, কোন বিপদে, কর্ত্তব্যের পথ হইতে তাহারা বিচলিত হন না । তারাও রাণী ভবানীর যোগ্য কন্যা। সাক্ষাৎ দেবীর ন্যায় মাতার জীবনের শিক্ষা ও দৃষ্টান্তের মধ্যে র্তাহার জীবন গঠিত। মাতার অন্যায় কঠোর ব্রহ্মচর্য্যে ও ধর্ম্ম সেবায় তিনি জীবন উৎসগ করিয়া শান্তিলাভ করিলেন । কন্যার শান্তিতে মাতার মনেও ক্রমে শান্তি আসিল ।
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।