RD ao त्रांपै-नौ । স্নেহপরায়ণ বৃদ্ধ নবাব আলিবর্দী খাঁ নিজে ধর্ম্মশীল ও সংযতচরিত্র হইয়াও দৌহিত্রের দুস্ক্রিয়ায় কোনরূপ বাধা দিতেন না। অবাধে বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সিরাজের ভোগালালসা ও উচ্ছ জ্বলতা বাড়িতে লাগিল। অনেক কুলিললনার অমূলা সতীত্বাধন সে লালসার আগুনে বিসজ্জিত হইল ; অনেক বিশুদ্ধ কুলে কলঙ্কের কালী পড়িল। সকলেই যার-পর-নাই ভীত হইয়া উঠিলেন । মুরাসিন্দাবাদের নিকট বড়নগরে গঙ্গাতীরে রাণী ভবানীর একটি বাড়ী ছিল। অনেক সময় তিনি গঙ্গাবাসের জন্য সেখানে থাকিতেন। তাহার যুবতী বিধবা কন্যা তারা পরম রূপবতী ছিলেন। ব্রহ্মচর্য্য ও ধর্ম্মসেবা সে সৌন্দর্য্যে অপূর্ব স্বগীয় জ্যোতিঃ ঢালিয়া দিয়াছিল। এমন উজ্জ্বল রূপে তারাকে দেববালার মত দেখাইত । AA একদিন সন্ধ্যার পূর্বে তারা আপন উজ্জ্বল রূপে দিবা আলো করিয়া গঙ্গাতীরে সেই বাড়ীর ছাদে দাড়াইয়াছিলেন। এমন সময় সিরাজের বিলাসতরণী সিরাজ ও ভর্তাহার বিলাসসহচরীগণসহ গঙ্গা বাহিয়া যাইতেছিল । সহসা তারাকে দেখিয়া সিরাজ মুগ্ধ হইলেন। প্রাণের সকল লালসা তাহার জাগিয়া উঠিল। অসংযত সিরাজের হিতাহিত জ্ঞান রহিল না। তারাকে লাভ করিবার জন্য তাহার অদমনীয় আকাঙক্ষ হইল। বলে, ছলে, কৌশলে যে ভাবেই হউক, তিনি তারাকে গ্রহণ করিবেন,
- এই সংকল্প করিয়া, সেইরূপ চেষ্টা আরম্ভ করিলেন।