কর্ম্মদেবী । যুদ্ধ কর, পাঠানের সাধ্য কি যে, নিবার অধিকার করিতে পারে ?” সর্দারগণ কহিলেন,-“মা, সুধু মৃত্যুপণে দেশের গৌরব রক্ষা হইতে পারে, দেশরক্ষা হইবে না। দুর্দান্ত পাঠান সমস্ত উত্তরভারতবর্ষ জয় করিয়া মিবারের দিকে আসিতেছে। আমাদের সাধ্য কিমা , যে, প্রাণ দিয়াও মিবার রাখিতে পারি। আজ যদি সমরসিংহ থাকিতেন, সাহসে ও বলে আমরা বুক বাঁধিতে পারিতাম। র্তার নেতৃত্ব যদি আজ পাইতাম, মির্বার রক্ষা করিতে পারিব এ ভরসা আমাদের মনে হইত। ” কর্ম্মদেবী উত্তর করিলেন,-“সমরসিংহ আজি নাই সত্য, কিন্তু তঁা’র সহধর্ম্মিণী আমি তো রহিয়াছি। আজ তঁা’র নেতৃত্ব তোমরা হারাইয়াছ সত্য, কিন্তু আমার নেতৃত্বে তো বঞ্চিত হও নাই। আমি নিজে এই যুদ্ধে তোমাদিগকে পরিচালনা করিব।” বিস্মিত সর্দারগণ নীরবে রহিলেন । কর্ম্মদেবী আবার কহিলেন,-“সর্দারগণ, আমি রমণী বলিয়া কি আমার কথায় তোমাদের ভরসা হইতেছে না ? রমণী হইলেও আমি রাজপুতরমণী,--বীরেন্দ্র, যোগীন্দ্র, সমরসিংহের সহধর্ম্মিণী । তঁা’র সহধর্ম্মিণী বলিয়াই তাঁরই মত শক্তিতে এতদিন রাজধর্ম্ম পালন করিয়া আসিতেছি । তা’র সহধর্ম্মিণী আমি যে হাতে তা’র রাজদণ্ড ধরিয়াছি, সেই হাতে তার রাজ-অসি ধরিয়া মিবারের শত্রু নাশ করিব। যোগীশ্বর মহাতেজস্বী মহাপুরুষ রুদ্রের সহধর্ম্মিণী সিংহবাহিনী দুর্গ যেমন দানব সমরে দানবদলন করিয়া
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।