রাণী ভবানী । Ridd ব্রহ্মচারিণী কঠোরব্রতিপরায়ণা বিধবার নিজের বসন ভূষণে ও ভোগবিলাসের কোন ব্যয়ই ছিল না । পরিজনবগের প্রতিপালন এবং নিজের নিত্য ব্রত পূজা ইত্যাদি কার্য্যে যাহা লাগিত, তাহা ভিন্ন আর সমস্ত আয়ই তিনি দানধর্ম্মে ও অন্যান্য লোকহিতকর কর্ম্মে ব্যয় করিতেন। সঞ্চয় একরূপ কিছুই করিতেন না । ব্রাহ্মণ, অতিথি, তীর্থবাসী ও বিভিন্ন আশ্রমের সন্ন্যাসীদিগের জন্য বৎসর এক লক্ষ আশী হাজার টাকার নগদ বৃত্তি নির্দিষ্ট ছিল। শিক্ষাবিস্তারের জন্য নানাস্থানে টোল স্থাপন করিয়া ছাত্রদের প্রতিপালন এবং শিক্ষাদানের জন্যও অনেক বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। তাহার উত্তরাধিকারিগণ এই সব বৃত্তির টাকা বন্ধ না করিতে পারেন, এজন্য, ইংরেজ-শাসন স্থাপিত হইলে, বার্ষিক নির্দিষ্ট বৃত্তি তিনি আপনার দেয় রাজস্বের সঙ্গে মিলাইয়া— সেই পরিমাণ রাজস্ব বৃদ্ধি করিয়া গবর্ণমেণ্টের নিকট জমা দিতেন। অধ্যাপকগণ গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে সময় মত বৃত্তির টাকা লইয়া টোলের ব্যয় চালাইতেন । নিজের জমিদারী এবং অন্যান্য অনেকের জমিদারীর মধ্যে অনেক দরিদ্র লোককে নিষ্কর ভূমি দান করিয়া তিনি চিরদিন তাহাদের প্রতিপালনের ব্যবস্থা করেন । শ্রজ রোগীর চিকিৎসার জন্য ৮জন বৈদ্য তিনি বেতন দিয়া রাখেন। ইহারা নানা স্থানে ঘুরিয়া বিনামূল্যে দরিদ্র রোগীদিগের চিকিৎসা করিয়া বেড়াইতেন। ভারীরা নানাবিধ পাচন, পুরাণ চাউল, ছোট মাছ, মুগের ডাল, মিছারী প্রভৃতি
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।