SSo ख्वांग्रँ-ब्नांौ । লইয়া নাটোর রাজবাটীতে উপস্থিত হইল। তখন রামকৃষ্ণের প্রায় মুমূর্ষ অবস্থা । তিনি দৈব-আদেশ শুনিলেন,-“তোমার মাতার দয়া ও আশীৰ্বাদ ব্যতীত তোমার দেহমুক্তি ও সুগতি হইবে না।” রামকৃষ্ণ মাতার পাদোদক চাহিয়া পাঠাইলেন । রাণী ভবানী তাহা দিলেন না। রামকৃষ্ণ কাতর স্বরে বলিয়া উঠিলেন,-“মা, অবহেলা করিয়াছি বলিয়া কি এখনো তোমার রোষ গেল না ? এখনো সন্তানকে দয়া করিবে না ?” এই কথা উচ্চারিত হইবামাত্র রাণী ভবানী ছুটিয়া অন্তঃপুর হইতে বাহিরে আসিলেন । হায় মা ! তাই তুমি করুণারূপিণী জননী,-ধুরিত্রী-সাগরতুল্য ক্ষমাশীলা, বিশ্বধারিণী ! মাতা আসিলেন, আসিয়া মুমূর্ষ রামকৃষ্ণের মস্তকের উপর আপনার চরণ স্থাপন করিলেন । Fo রামকৃষ্ণ, সেই অন্তিম সময়ে,-এতকাল যে মায়ের সহস্ৰ বাক্য সহস্ৰ উপদেশ ঠেলিয়া আসিয়াছেন, যে মাকে ভুলিয়া, সিদ্ধিলাভের আশায় এতকাল বৃথা এত সাধনা করিয়াছেন, অদ্য সেই মাতা ভবানীতেই তাহার ইষ্টদেবীকে দর্শন করিলেন - আজ র্তাহার সাধনার সিদ্ধি হইল ;-আজি তাহার ললাট-বদনে যেন কোন অমৃত্যুদীপ্তির, কৃতার্থজীবনের চরমশান্তির, চরম তৃপ্তির, চরম আনন্দের জ্যোতিঃ ফুটিল ;-আনন্দে, প্রেমে, ভক্তিতে, অপােৰু ব্যাকুল গদগদ ভাবে তাহার মুখে মা ! মা ! রবের উচ্ছাস
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।