उधार्य-नांड्री । পরম রূপবতী বলিয়া পদ্মিনীর খ্যাতি ভারতের সর্বত্র বিস্তৃত হইয়াছিল। এই সময় প্রবল পরাক্রান্ত পাঠান সম্রাট আলাউদ্দিন খিলিজী, দিল্লীতে রাজত্ব করিতেন। পদ্মিনীর দেবদুলভ সৌন্দর্য্যের কথা শুনিয়া তাহাকে লাভ করিবার জন্য আলাউদ্দিন চিতোর আক্রমণ করেন। জাতীয় স্বাধীনতা ও রাজকুললক্ষনীর সম্মান রক্ষার জন্য রাজপুত বীরগণ, অদম্য বিক্রমে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। আলাউদ্দিন দিল্লীর সম্রাটু, তাহার সৈন্যবল ও অর্থবল অপরিমিত। কিন্তু মিবার ক্ষুদ্র রাজ্য হইলৈও মিবারবাসী রাজপুত যোদ্ধারা অলৌকিক বীরত্ব ও তেজস্বিতার প্রভাবে বহুদিন পর্য্যন্ত আলাউদ্দিনের বিপুল সেনার গতিরোধ করিয়া রাখিলেন। 敏 ক্রমে উভয়পক্ষই যুদ্ধে ক্লান্ত হইয়া পড়িলেন। আলাউদ্দিন ভীমসিংহকে জানাইলেন,-“আমি পদ্মিনীকে চাই না। শুনিয়াছি তিনি অদ্বিতীয় সুন্দরী। একবার মাত্র ভঁাহাকে দেখিবার বাসনা। তাহার মূর্ত্তি একবার দেখিতে পাইলেই, আমি সৈন্য छद्देशू ख्रिौंड शिक्रिश यांझेद !” সংবাদ পাইয়া ভীমসিংহ ও চিতোরের প্রধান ব্যক্তিগণ চিন্তিত হইলেন। আলাউদিনের পাপ-লোলুপ দৃষ্টির সমক্ষে রাজকুললক্ষীর পবিত্র নির্ম্মল সৌন্দর্য্য কি “কারিয়া ধরিবেন ? এ‘হীনতা স্বীকার করিতে কাহারো মন সরিল না । তখন পদ্মিনী নিজে ভীমসিংহকে কহিলেন,-“আমার এ ছার রূপই চিতোরের কাল হইল। এর জন্য আর চিতোরের এই বীর
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।