পদ্মিনী । ܔ মনে মনে এক গুঢ় অভিসন্ধি স্থির করিয়া তিনি কতিপয় বিজ্ঞ ও বিশস্ত মন্ত্রী, ও সেনাপতিকে ডাকিলেন। তঁহাদের সঙ্গে পরামর্শ করিয়া আলাউদিনের শিবিরে এই সংবাদ পাঠাইলেন,-“ স্বামীকে উদ্ধারের জন্য দিল্লীর সম্রাটুকে আত্মসমর্পণ করিব। কিন্তু তাহার পূর্বে সম্রাট আমার নিম্নলিখিত কথাগুলি পালন করিবেন। আমি রাজকন্যা ও রাজমহিষী, আমার অনেক সহচরী আছে। তাহাদের মধ্যে সাত শত সহচরী শিবিকায় আমার সঙ্গে পাঠান-শিবিরে যাইবে । কেহ কেহ আমার সঙ্গে থাকিবে, কেহ ফিরিয়া আসিবে। তাহারা সকলেই সন্ত্রান্তবংশীয় রাজপুত মহিলা; তাহদের সম্মান রক্ষার্থ পাঠান সেনাকে দূরে থাকিতে হইবে। আর, শিবিরে উপস্থিত হইয়া দিল্লীর সম্রাটুকে আত্মসমর্পণ করিবার পূর্বে অতি অল্পকালের জন্য স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া শেষ বিদায় নিতে চুই। কারাগারের নিকটেও যেন পাঠান সৈন্য অথবা বেসি *প্রহরী না থাকে।” সংবাদ পাইয়া অ্যালাউদ্দিন আহলাদে আত্মহারা হইলেন । পত্রের মর্ম্মে কোনরূপ চাতুরী বা অন্য অভিসন্ধি থাকিতে পারে, এরূপ বিচার করিবার শক্তি বা অবসর তার হইল না । আনন্দে উন্মত্ত মুগ্ধ সম্রাটু পদ্মিনীর কথা প্রতিপালনে সম্মত হইলেন। পদ্মিনী দিন ও সময় নিদিষ্ট করিয়া আলাউদ্দিনকে সংবাদ পাঠাইলেন। 峻 নির্দিষ্ট দিনে সাত শত শিবিকা ক্রমে পাঠানশিবিরে ভীম
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।