হামির-মাতা ও হামির-পত্নী । 8° আমি চিরদিনই লজ্জিত ও দুঃখিত। পিতা পাঠানের অধীন হুইলেও, দেশের শত্রু বলিয়া পাঠান আমার ঘূণার পাত্র । মিবারের গৌরব রাণা-বংশধরেরা মিবার-বাসিনী আমার চিরপূজ্য। আপনাকেও দেবতা জ্ঞানে নিজের হৃদয়ে পূজা করিয়া আসিতেছি।" সুতরাং আপনি পায়ে স্থান দিলে মালদেবের কন্যা বলিয়া আপনার পদ-সেবার অযোগ্য আমি নই। কিন্তু অন্য এমন কারণ আছে, যাহাতে মহারাণার মহিষী পদের ' গৌববের অধিকারিণী আমি কি-না, বুঝিতে পারিতেছি না। মহারাণা বিচার করিয়া আমার সংশয় দূর করুন।” হামির বলিলেন,-“কি সে কারণ, না বলিলে কিরূপে বিচার করিৰ ?” মালদেব-কন্যা কহিলেন,-“মহারাণা, আমি বিধবা । অতি শৈশবে ভট্টবংশীয় কোন সেনানায়কের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পরেই সেই স্বামীর মৃত্যু হয়। বিবাহের কথা, কি, স্বামীর কথা কিছুই আমার স্মরণ নাই। আমার পিতা শক্রতা বশতঃ আপনার অপমান করিবার জন্যই আপনার সঙ্গে বিধবা কন্যার বিবাই দিয়াছেন। বিধবার সংশ্রবে। রাণাবংশ কলঙ্কিত হইবে ইহাই তাঁহার উদ্দেশ্য। বিবাহের পূর্বে এ কথা পাছে প্রচার হয়, তাই আত্মীয় স্বজন কাহাকেও বিবাহে নিমন্ত্রণ করেন নাই ; তাই চিতোরেশ্বর হইয়াও কন্যার বিবাহে কোন সমারোহ করেন নাই।” হামির স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রহিলেন। ক্রোধে ও অক্তি
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।