(3 আখ্য-নারী । ) পায়ে ধরিয়া, তার পাদুকা মাথায় লইয়া তোমাকে তার নিকট ক্ষমা চাহিতে হইবে। নতুবা তোমার নিষ্কৃতি নাই।” পাভুরায় অগত্যা তাহাই করিলেন। কিন্তু এই অপমানের বিষ তাহার হাড়ে হাড়ে বিঁধিল । প্রবল প্রতিহিংসা তার হৃদয় অধিকার করিল। অতি নৃশংস উপায়ে পশুপ্রকৃতি পাণ্ডুরায় সেই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করিল। বিষমিশ্রিত কতকগুলি লাড়ু প্রস্তুত করিয়া, যাইবার সময় পাতুরায় পৃথি রাজের সঙ্গে দিল। পথে পৃথিরাজ ক্ষুধার্ত্ত হইয়া সেই লাডু, খাইলেন। তীব্র বিষের জ্বালায় তাহার শরীর জর্জরিত হইয়া উঠিল। পৃথিরাজ বুঝিলেন, তার আসন্ন কাল উপস্থিত। এক দেবমন্দিরে তিনি আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । তারাবাইএর নিকট সংবাদ গেল। তারাবাই আসিয়া দেবমন্দিরে পৃথিরাজের মৃতদেহ দেখিতে পাইলেন । ধীরে ধীরে স্বামীর মন্তক কোলে রাখিয়া মৃত স্বামীকে সম্বোধন করিয়া তারা কহিলেন,-“প্রভো, বীর তুমি, যুদ্ধ তোমার জীবনের ব্রত। বীরের শ্রেষ্ঠ নিয়তি - যুদ্ধক্ষেত্রে তোমার, মৃত্যু প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত্তে আমি প্রতীক্ষা করিয়াছি। যুদ্ধক্ষেত্রে না পারি, চিতায় তোমার সহগামিনী হইতে সর্বদা আমি প্রস্তুত আছি। কিন্তু আজ বড় দুঃখ-এমন হীনকল্পনার অতীত ভাবে তোমার বীরজীবনের শেষ হইল। বড় দুঃখ-শত্রুশোণিতে রঞ্জিত, শত্রুর অসিতে ছিন্ন, পুণ্য রণক্ষেত্রে পতিত তোমার বীরদেহ বুকে করিয়া, তোমার বীরত্ব
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।