কর্ম্মদেবী । VGS) কর্ণবতী কহিলেন,-“তুমি যদি যাও মা, আমিও যাইব । মা হইয়া তুমি যদি পুত্রের সহায়তায় অস্ত্র ধারণ করিতে পার, ভগিনী হইয়া কি আমি হাতে সুধু অলঙ্কার পরিয়া বসিয়া থাকিব ?” কমলাবতী কহিলেন,-“মা, আমিও যাইব । বীরের সহধর্ম্মিণী আমি, স্বামীর সঙ্গে যুদ্ধ করা আমার ধর্ম্ম। বালিকা হইলেও, রাজপুত বালা কখনো ধর্ম্ম সাধনে কুষ্ঠিত হয় না। স্বামী যদি যুদ্ধে জয় লাভ করেন, তার বিজয় গৌরবের সঙ্গিনী হইব । আর এ জীবনের মত বীরশয্যায় যদি তিনি শয়ন করেন, আমি সেই শয্যাভাগিনী হইব ।” কন্যা ও পুত্রবধুর সাহস ও বীরত্বে পরমানন্দিত হৃদয়ে কর্ম্মদেবী তাহাদিগকে বীরবেশে সজ্জিত করিয়া নিজেও বীরবেশে সজ্জিত হইয়া অশ্বারোহণে চিতোরের দিকে চলিলেন । এই যুদ্ধে অন্যান্য যে সমস্ত সামন্ত রাজা উদয়সিংহের সহায়তায় চিতোরে আসিয়াছিলেন, বেদনোরের অধিপতি জয়মল্লই বীরত্বে ও পরাক্রমে সকলের প্রধান ছিলেন । উদয়সিংহ র্তাহাকেই প্রধান সেনা-নায়কের পদে বরণ করিলেন। জয়মল্ল যুদ্ধে নিহত হইলে পুত্ত ভঁাহার পদে প্রতিষ্ঠিত হন। পদগৌরবে, আপন গৌরবে, পুত্ত চিতোরের গৌরব রক্ষার চিন্তায় উৎফুল্ল হইয়া যুদ্ধে চলিলেন। পুত্তের সঙ্গে আকবরের ভীষণ যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে। সম্রাটের সেনাপতির অধীনে একদল সৈন্যের সঙ্গে পুত্ত যুদ্ধ করিতেছেন। অপর দল সৈন্ত
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।