cयांक्षांबाहै । ዓ ግ স্ত্রী পুত্র কন্যা প্রভৃতি সকলেই তাহার দুঃখের ভাগী হইয়া রহিলেন । সকলেই আচল অটলভাবে প্রশান্ত মনে তাহা সহিলেন । কিন্তু, শিশু পুত্রকন্যার মধ্যে মধ্যে বড় কঁাদিত। ক্ষুধার জ্বালায় শিশু পুত্র কন্যার এ রোদন প্রতাপের মর্ম্মে বিঁধিত। তত্রাচ, স্বাধীনতার পরামশ্রেষ্ঠ উপাসক প্রতাপ, তাহাও নীরবে: সািহত্যু করিতেন । কিন্তু, একদিন আর পরিলেন না । একদিন প্রতাপের মহিষী কয়েকখানি ঘাসের রুটি করিয়া অৰ্দ্ধেক বালকবালিকা দিগকে দিয়া, বাকী অৰ্দ্ধেক তাহারা বৈকালে খাইবে বলিয়া খিয়া দিলেন। ক্ষুধার জ্বালা বালকবালিকার অনেক সহিয়াছে। যাহা পাইয়াছে, তাহ খাইতে খাইতে বৈকালে যাহা খাইবে তার দিকে আশা ও আনন্দের সঙ্গে ছোট মেয়েটি চাহিতেছিল। এবেলা খাইল, আবার ওবেলায় খাইআবারও সংস্থান রহিল । সহসা একটি বন্য বিড়াল আসিয়া সেই রুটিগুলি লইয়া গেল। --শিশু বালিকা ৱিকটি চীৎকারে আর্ত্তিনাদ করিয়া উঠিল। প্রতাপ চাহিয়া দেখিলেন। অনেক সহিয়াছেন। কিন্তু আজ আর এ দৃশ্য র্তাহার প্রাণ সহিল না। তিনি তখনই আকবরকে নিজের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করিয়া আত্মসমৰ্পণ করিবেন বলিয়া পত্র লিখিলেন । এই সময়, বিকানীরের রাজা রায়সিংহের ভ্রাতা পৃথিরাজ
পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।