পাতা:আলমগীর - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

liriimma 4€%d6mihasmlib . ʻ প্রথম দৃশ্য। অৰ্জ্জুনের শিবির। শিবিরস্তম্ভে, গাণ্ডীৰ, তুণদ্বয় ও বিবিধ অস্ত্রশূন্ত্র লম্বমান। ( রণবেশে অর্জন ইতস্ততঃ বিচরণ করিতেছেন। ) অৰ্জ্জুন। লোকে বলে, বীরে কখন আত্মীয় স্বজনের মৃত্যুতে দুঃখিত হয় না, মিথ্যা কথা । এমন লোক জগতে কেহই নাই, যিনি প্রিয়জনের বিয়োগে দুঃখিত না হন ও হ’তে পারে তিনি অশেষ সহ গুণের আধার-যন্ত কষ্টই হ’ক না, যত দুঃখ হ’ক না, বাহে প্রকাশ না করে, তিনি মনের আগুন মনেই চেপে রাখতে পারেন। তাই ব’লে কি বলবো যে, তঁর দুঃখ হয় না ? শুনেছি, কঁদলে শোকের অনেক লাঘব হয়-সত্য মিথ্যা জানি না। কিন্তু"অভিমনু্যর শোকেঅহো অভিমনু্য ! বৎস! কোথায় তুমি!! আমার হৃদয় যে বিদীর্ণ হয়! আর যে সহ হয় না! প্রাণের ভিতর যে কেমন করে -( খট্টীয় উপবেশন ও উপাধানে মুখ লুক্কায়িত করিয়া কিয়ৎক্ষণ অবস্থান)- কৃষ্ণের আদেশ, আজ শোক ভুলতে হ’বে। কিন্তু শোক ভুলতে পারি কৈ ? পাষাণ হতে চাই-কিন্তু হৃদয় তা পাষাণ নয়। হৃদয় যে কঁদেপ্রাণ যে কেমন করে! কি, সুখে স্বার বেঁচে থাকবো ? কোন মুখে। সুভদ্রাকে এ পাপ মুখ দেখাবো ? ঐ সংবাদ শুনে কি উত্তর রাঢ়বে ওহে ! প্রাণ যে কেমন করে। আর যে সন্থ হয় না ! ধিক ক্ষত্রধর্ম্মে ধিক্ রাজ্যসম্পদে ! যদি সামান্ত বনবাসী হ’তেম, আজ কি সুখেই কাল কাটাতেম। আমার অভাব কিসের ? জগৎসখা শ্রীকৃষ্ণ আমার